বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের দেশে মোটর সাইকেলের বাজারে দু’টি তুমুল জনপ্রিয় বাইক প্রস্তুতকারী সংস্থা হল Bajaj Auto ও TVS Motos। যত দিন যাচ্ছে ততই নিজেদের বাজার বাড়াচ্ছে সংস্থাগুলি। পাশাপাশি, গ্রাহকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন নিত্য-নতুন মডেল নিয়ে আসছে এই দুই সংস্থা। তবে, শুধু দেশীয় বাজারেই নয়, বরং Bajaj এবং TVS জনপ্রিয় ভারতের বাইরেও।
হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন! মূলত, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশেও ভারতের এই দুই সংস্থার বাইক বিপুলভাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এদিকে, আফ্রিকায় দু’চাকার বাজারে একটা সময় পাল্লা দিয়ে চিনা সংস্থার মোটর সাইকেলের রমরমা চলত। যদিও, এখন ভারতের এই দুই অন্যতম সংস্থার দৌলতে চিনা কোম্পানিগুলির অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় হয়ে পড়েছে। শুধু তাই নয়, ৩০০ cc -র কম ক্ষমতাসম্পন্ন ইঞ্জিনের সেগমেন্ট-এ আফ্রিকায় Bajaj ও TVS-এর একের পর এক বাইক কার্যত “সুপারহিট” হয়ে উঠেছে।
এমতাবস্থায়, স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে পারে যে, ভারতের বাইরে গিয়েও কিভাবে এত জনপ্রিয়তা পেল এই দুই সংস্থা? এর পরিপ্রেক্ষিতে বলতে হয় যে, চিনা কোম্পানিগুলিই প্রত্যক্ষভাবে আফ্রিকার বাজার দখল করতে সাহায্য করেছে Bajaj ও TVS-কে। এর কারণ হল, চিনা মোটর সাইকেলগুলি দামে কম হলেও সেগুলি আদৌ টেকসই নয়। এমনকি, কেনার পর সেগুলির আফটার সেলস সার্ভিসও বারংবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে। এমতাবস্থায়, চিনা বাইক প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির থেকে মুখ ফিরিয়েছেন ক্রেতারা। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই বাজার দখল করেছে ভারতের এই দুই সংস্থা।
প্রাপ্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা গিয়েছে, চিনের মোটর সাইকেল প্রস্তুতকারী সংস্থার সংখ্যা প্রায় ২০০-র কাছাকাছি ছিল। এমনকি, প্রতিটি সংস্থাই আফ্রিকার বাজারে পাল্লা দিয়ে ব্যবসা করত। কিন্তু এখন এই দুই ভারতীয় সংস্থার সাথে প্রতিযোগিতায় টক্কর দিতে না পেরে প্রায় ১৬০ টি চিনা সংস্থা আফ্রিকা থেকে ব্যবসা সরিয়েছে। শুধু তাই নয়, বাকি ৪০ টি সংস্থাও কার্যত কোনোভাবে টিকে রয়েছে।
এদিকে, আফ্রিকায় এখনও বহু মানুষ আর্থিকভাবে স্বচ্ছল না হওয়ায় দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করেন। যে কারণে, সস্তা ও বেশি মাইলেজ দিতে সক্ষম বাইক খোঁজেন ক্রেতারা। আর ক্রেতাদের এই প্রাথমিক চাহিদাটুকুই ভালোভাবে পূরণ করতে পারে Bajaj ও TVS-এর বাইকগুলি। শুধু তাই নয়, জানা গিয়েছে, গত আর্থিক বছরেই আফ্রিকার মোটর সাইকেল বাজারে প্রায় ৪০ শতাংশ দখল করে ছিল Bajaj Boxer। পাশাপাশি, দুই সংস্থারই সার্ভিস পরিষেবাও ভালো। আর এই পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট যে, আফ্রিকার মাটিতে রীতিমতো রমরমিয়ে ব্যবসা করছে ভারতের এই দুই সংস্থা।