বাংলা হান্ট ডেস্কঃ করোনা (Covid) সংক্রমণের জেরে গত দেড় বছরের বেশি সময় ধরে ধুঁকছে গোটা দেশের অর্থনীতি (Economy)। এই পরিস্থিতিতে প্রতিনিয়ত সেঞ্চুরি হাঁকাচ্ছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম। যার জেরে পরিবহণ খরচ বৃদ্ধির ফলে চালডাল, শাকসবজি, মাছ মাংসেরও দাম বেড়েছে। এছাড়া প্রবল বর্ষার কারণে নষ্ট হয়েছে একাধিক ফসল এবং ফসলের জমি। এরফলে বাজারে কমেছে শাক সব্জির যোগান।
আর এইভাবে দিনের পর দিন রান্নার গ্যাস থেকে শুরু করে খাদ্য সামগ্রী হু হু করে সবকিছুর দাম বাড়তে থাকায় টান পড়েছে আম জনতার পকেটে। সম্প্রতি পেট্রোল ডিজেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে সংসদে বিক্ষোভ দেখিয়েছে বিরোধীরা। বাজার থেকে শুরু করে রান্নার গ্যাসের দাম সব মিলিয়ে এখন মধ্যবিত্তের কপালে হাত।
এই পরিস্থিতিতে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে সুখবর দিল রিপোর্ট । জানা যাচ্ছে জুলাই মাসে ভারতের খুচরো বাজারে কমেছে মুদ্রাস্ফীতির হার। জুন মাসে যেখানে ভারতের মুদ্রাস্ফীতি ৬.২৬ শতাংশ ছিল সেটা জুলাই মাসে কমে দাঁড়িয়েছে ৫.৫৯ শতাংশ। বলা হচ্ছে জিনিসপত্রের দাম কমার কারণেই মুদ্রাস্ফীতি কমেছে।
উল্লেখ্য CPI বা কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্সের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জুন মাসে যেখানে খাদ্য স্ফীতি ছিল ৫.৫১ শতাংশ । জুলাই মাসে সেটা ৩.৯৬ শতাংশে নেমে এসেছে। তবে রিপোর্টে মুদ্রাস্ফীতি কমার কথা বলা কথা বলা হলেও বাজারে শাক সবজির দাম যে হারে বাড়তে শুরু করেছে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই নানান প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে।
অন্যদিকে দুর্বল অর্থনৈতিক পরিকাঠামোর কথা মাথায় রেখেই এবার রেপোরেট বাড়ায়নি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। রিভার্স রেপোরেটও অপরিবর্তিত রেখেছে। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দায়িত্ব মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা। বর্তমানে, আরবিআইয়ের মুদ্রাস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ৪ শতাংশ। এর মধ্যে ২ শতাংশের মার্জিন রয়েছে, অর্থাৎ মুদ্রাস্ফীতির হার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ শতাংশ বেশি বা কম হতে পারে। টানা পাঁচ মাস মুদ্রাস্ফীতি সীমার মধ্যে ছিল। কিন্তু চলতি বছরের মে এবং জুন মাসে তা উচ্চ সীমা অতিক্রম করে।