বাংলা হান্ট ডেস্ক : ভারত-মালদ্বীপ (Maldives) কূটনৈতিক সম্পর্ক এখন যে তিমিরের সেই তিমিরেই। মোদী (Narendra Modi) বিরোধিতার ফল যে কী হতে পারে তা ভালোই বুঝিয়ে দিয়েছে ভারতীয় নাগরিকরা। আপাতত ‘বয়কট মলদ্বীপ’-এর রেশ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে দ্বীপরাষ্ট্র। যদিও মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু (Mohamed Muizzu) সেসবে কান দিতে বিশেষ রাজি নন। চিন সফর (China Visit) থেকে ফিরেই ভারতীয় সেনা (Indian Army) সরানোর আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
সূত্রের খবর, মালদ্বীপ থেকে সেনা সরানোর বিষয়ে স্থায়ী সমাধান খুঁজছে ভারত সরকার। দিন কয়েক আগেই মালদ্বীপ সরকার জানিয়েছে, আগামী ১৫ মার্চের মধ্যেই মালদ্বীপ থেকে সেনা সরাতে হবে ভারতকে। এইদিন সরকার পক্ষের এক আধিকারিক আবদুল্লা নাজ়িম ইব্রাহিম বলেন, ‘ভারতীয় সেনারা মলদ্বীপে থাকতে পারবেন না। কারণ, এটাই প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু এবং তার সরকারের সিদ্ধান্ত।’
যদিও এটাই প্রথম নয়, ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ভারতীয় সেনা সরানোর কথা বলছে মুইজ্জু সরকার। এখানে জানিয়ে রাখি, সুসজ্জিত দ্বীপরাষ্ট্রে প্রায় ৮৮ জন ভারতীয় সেনা মোতায়েন রয়েছে। যাদের কাজ হল মূলত, মালদ্বীপ সেনাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া, বিপদ সঙ্কুল এলাকায় ওষুধ পৌঁছানো, খাবার পৌঁছানোর পাশাপাশি চিকিৎসা উপাদান পৌঁছে দেওয়া। আর এবার সেই সেনাবাহিনীকেই সরানোর কথা বলছে মুইজ্জু সরকার।
আরও পড়ুন : রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে জ্বলে পুড়ে মরছে পাকিস্তান! ছড়াচ্ছে ভুয়ো খবর, পাল্টা ব্যবস্থা নিল ভারত
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১০ সাল থেকেই একটি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অংশ হিসেবে ভারতীয় সেনা মলদ্বীপে রয়েছে। এইদিন এই প্রসঙ্গে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানান, ‘যে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ, তা হল ভারতীয় বিমান চলাচলের জন্য একসঙ্গে কার্যকর সমাধান খুঁজে বের করা। ১৪ জানুয়ারি একটি বিশেষ বৈঠক হয়। আলোচনা চলছে। দ্বিতীয় একটি বৈঠক হবে। কী হবে তা আগে থেকেই ভেবে নেওয়ার দরকার নেই।’
আরও পড়ুন : এখানেই জন্মেছিলেন শ্রী রাম! অযোধ্যার দশরথ মহলের রহস্যময় ইতিহাস জানলে চমকে উঠবেন
জানা যাচ্ছে, দিন কয়েক আগেই মালেতে ভারত-মালদ্বীপের একটি উচ্চস্তরের বৈঠক হয়। সেখানেই সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি উঠে আসে। সেখানে ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রদূত মুনু মাহাওয়ার-সহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। প্রাথমিকভাবে সেনা সরানোর বিষয়টিকে বাদ দিয়ে ভারত-মালদ্বীপ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপরেই বেশি জোর দিয়েছিল ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক। তবে মুইজ্জুর ১৫ মার্চের আল্টিমেটাম দেওয়ার পর পরিস্থিতি বেশ জটিল হয়ে উঠেছে।