মাত্র ১৬ বছর বয়সেই বাজিমাত! AI-এর সৌজন্যে ১০০ কোটির কোম্পানির মালিক প্রাঞ্জলি

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে যুগের সাথে পাল্লা দিয়ে ক্রমশ উন্নত হচ্ছে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি। যার প্রভাব পড়ছে মানবজীবনেও। এখন বিশ্বজুড়ে যে বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে সেটি হল “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা” বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অর্থাৎ AI (Artificial Intelligence)। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই AI-কে কাজে লাগিয়েই অনেকে বিপুল অর্থও উপার্জন করছেন। এমতাবস্থায় বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা আপনাদের কাছে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরীর প্রসঙ্গ উপস্থাপন করব। যে ইতিমধ্যেই ১০০ কোটি টাকার “AI” সংস্থার মালিক।

প্রাঞ্জলি অবস্তি নামের ওই কিশোরী মিয়ামির একটি প্রযুক্তি সম্পর্কিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে নিজের সংস্থার বিষয়ে জানিয়েছে। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই সে নিজস্ব সংস্থাটি শুরু করেছে। শুধু তাই নয়, ওই কোম্পানির জন্য সে ৩.৭ কোটি টাকার আর্থিক সাহায্যও পেয়েছিল। বর্তমানে সেখানে ১০ জন কর্মী কাজ করছেন। জেনে অবাক হবেন যে, ইতিমধ্যেই প্রাঞ্জলির সংস্থার বর্তমান বাজারমূল্য ভারতীয় মুদ্রায় ১০০ কোটি টাকায় পৌঁছেছে।

Indian girl owns 100 crore company courtesy of AI

কিভাবে এল AI-এর প্রতি আগ্রহ: এই প্রসঙ্গে প্রাঞ্জলি জানিয়েছে, তার বাবার কাছ থেকেই AI-এর প্রতি আগ্রহ জন্মায় প্রাঞ্জলির। সাত বছর বয়স থেকে কোডিং শিখতে থাকা প্রাঞ্জলি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জটিল কোডিংও আয়ত্ত করে ফেলে। পাশাপাশি, কন্যার উচ্চশিক্ষার কথা চিন্তা করে প্রাঞ্জলির যখন ১১ বছর বয়স তখন তার বাবা-মা ফ্লোরিডা চলে যান।

আরও পড়ুন: ১ কেজি সোনা, ৭ কেজি রুপো দিয়ে তৈরি রাম মন্দিরের পাদুকা! ঘোরানো হচ্ছে সারা দেশে, কবে পৌঁছবে অযোধ্যা?

সেখানে গিয়ে কোডিং ছাড়াও প্রাঞ্জলি পড়াশোনা শুরু করে “মেশিন লার্নিং” নিয়ে। এছাড়াও, কম্পিউটার সায়েন্স এবং অঙ্ক নিয়েও উচ্চস্তরের পড়াশোনা চালিয়ে যায় সে। ফ্লোরিডা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে মাত্র ১৩ বছর বয়সেই প্রশিক্ষণ নেয় প্রাঞ্জলি। এদিকে, অনলাইন মাধ্যমে স্কুলের পড়াশোনাও চালিয়ে যায়।

আরও পড়ুন: ভুল করে অ্যাকাউন্টে এসেছে টাকা? মনের আনন্দে করে ফেলেছেন খরচ? তাহলে আর নেই রক্ষে

করোনার মতো ভয়াবহ মহামারী চলাকালীন চ্যাট জিপিটির মতো বিষয় যেভাবে চর্চায় ছিল ঠিক সেই সময় তথ্য প্রযুক্তি এবং “AI” নিয়ে ডুবে থাকত প্রাঞ্জলি। সাথে চলত পড়াশোনাও। মিয়ামিতে একটি স্টার্টআপ সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়ে প্রাঞ্জলি সেখান থেকেও প্রশিক্ষণ নিয়ে জ্ঞান অর্জন করতে থাকে। এদিকে, ভবিষ্যতের প্রসঙ্গে প্রাঞ্জলি জানিয়েছে, উচ্চশিক্ষার জন্য সে কলেজে ভর্তি হতে চায়। যদিও, সংস্থার কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে পড়াশোনা কয়েকদিন বন্ধ রাখতে হয়েছে তাকে। প্রাঞ্জলির লক্ষ্য হল অনলাইন মাধ্যমে যত তথ্য রয়েছে AI”-কে কাজে লাগিয়ে যেন সকলে তা ব্যবহার করতে পারে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর