Whatsapp স্তব্ধ হয়েছিল কেন? মেটাকে কারণ জানাতে বলে কড়া চিঠি ভারত সরকারের

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : দীপাবলীর দিন যখন সারা দেশ মেতে উঠেছিল আলোর উৎসবে ঠিক তখনই আচমকা বন্ধ হয়ে যায় সব থেকে জনপ্রিয় ম্যাসেজিং অ্যাপ Whatsapp। আচমকা হোয়াটসঅ্যাপ কাজ বন্ধ করে দেওয়ায় অসুবিধায় পড়েন সারা পৃথিবী জুড়ে লক্ষ লক্ষ ব্যবহারকারী। ২ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর ফের স্বাভাবিক হয় পরিষেবা।

কিন্তু আচমকাই কেন জনপ্রিয় এই সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপটি বন্ধ হয়ে গেছিল তা জানতে চেয়েছে মেটাকে কড়া চিঠি পাঠালো কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক। মেটাকে বলা হয়েছে এই বিষয়ে সবিস্তার জানিয়ে ইন্ডিয়ান কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিমকে (CERT-in) রিপোর্ট জমা দিতে।

গত মঙ্গলবার দুপুর বারোটার পর থেকেই সমস্যা করতে শুরু করে হোয়াটসঅ্যাপ। সারা বিশ্ব জুড়ে একটা সময় পর স্তব্ধ হয়ে যায় পরিষেবা। প্রায় দুই ঘন্টা বন্ধ থাকার পর পুনরায় রিস্টোর করা হয় সার্ভিস। পরিষেবা পুনরায় চালু হলে মেটা জানায় প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে হোয়াটসঅ্যাপ পরিষেবা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

বর্তমানে সারা পৃথিবীতেই সাধারণ ব্যবহারের পাশাপাশি বাণিজ্যিক কারণেও ব্যবহৃত হয় জনপ্রিয় এই সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপটি। আচমকা হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বড়সড় সমস্যার সম্মুখীন হন গ্রাহকরা। হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে অনেক গ্রাহক ব্যবহার করতে শুরু করেন টেলিগ্রাম ,সিগন্যাল এর মত অ্যাপগুলি।

হোয়াটসঅ্যাপের আচমকা এই বন্ধ হয়ে যাওয়ার পেছনে সত্যিই কি কোন যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল নাকি হোয়াটসঅ্যাপ দুনিয়ায় হানা দিয়েছিল হ্যাকার? এ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন সাধারণ ব্যবহারকারী থেকে বিশেষজ্ঞরা। সাইবার অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি অনেকে। এবার এই বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসলো ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারও। তাদের তরফ থেকে কড়া চিঠিতে মেটার কাছে জবাবদিহি চাওয়া হয়েছে এই বিষয়ে।

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

X