বাংলাহান্ট ডেস্ক : কোনও ধর্মই মানুষকে হিংসা শেখায় না। আর ইসলাম তো নয়ই। ইসলামের প্রত্যেকটি শিক্ষাই নির্দেশ করে শান্তিকে। উদয়পুরের হিংসাত্মক ঘটনায় এমনই দাবি করলেন আজমের শরিফ দরগাহের প্রধান জয়নুল আবেদিন আলি খান।
ঠিক কী হয়েছিল উদয়পুরে?
উদয়পুরে মঙ্গলবার রিয়াজ আখতরী এবং গোস মহম্মদ নামে দুই ব্যক্তি নৃশংস ভাবে কানহাইয়া লাল নামে এক হিন্দু দর্জির গলা কেটে খুন করে। পরে তারা একটি ভিডিও আপলোড করে। যেখানে দেখা যায় ইসলামের বিরোধিতা করার জন্যই নাকি হত্যা করা হয় ওই দর্জিকে। জানা যাচ্ছে, ওই দর্জির ছেলে সোশ্যাল মিডিয়ায় নূপুর শর্মাকে সমর্থন করে একটি পোস্ট করে। সেই ‘অপরাধেই’ নাকি হত্যা করা হলো তার বাবাকে।
কী বললেন দরগাহ প্রধান?
এই ঘটনার পরই আজমের দরগাহের প্রধানের বক্তব্য সামনে আসে। তিনি বলেন, পৃথিবীতে এমন কোনও ধর্ম নেই যে হিংসাকে সমর্থন করে। কোনও ধর্মই মানবতা বিরোধী নয়। ইসলাম ধর্মের প্রত্যেকটি আচার-আচরণের বার্তা থাকে শান্তির। তিনি আরও বলেন, ‘ইন্টারনেটে যে ভিডিও সামনে এসেছে সেখানে দেখা যাচ্ছে দু’জন লোক একজন গরীব মানুষের উপর নৃশংস ভাবে আক্রমণ করছে। এই কাজকে ইসলাম সমর্থন করে না। ইসলামের মতে এই কাজ দণ্ডনীয় অপরাধ।’
জয়নুল আবেদিন বলেন, ‘যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা একটি উগ্রবাদী সংগঠনের সদস্য। এই সংগঠনটি সব সময়ই হিংসার মাধ্যে সমস্যা সমাধানের রাস্তা খোঁজে। আমি এই ঘটনার নিন্দা করছি। সরকারের কাছে আমার আবেদন, যত দ্রুত সম্ভব দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। ভারতের মুসলমান কখনোই নিজের দেশে তালিবানী সংস্কৃতিকে প্রশয় দেবে না।’
বন্ধ হোক গো-হত্যা, জাতীয় পশু হোক গরু
প্রসঙ্গত, আজমের দরগাহের প্রধান জয়নুল আবেদিন আলি খান এর আগেও একবার সংবাদের শিরোনামে আসেন ২০১৭ সালে। সেই সময় তিনি ভারত সরকারের কাছে আবেদন করেন, আইন করে যেন দেশে গো-হত্যা পুরোপুরি বন্ধ করা হয়। কারণ গোরুর মতো উপকারি প্রাণীকে হত্যা করে তার মাংস খাওয়াকে কখনই সমর্থন করা যায়না। এছাড়াও সেই সময় গোরুকে জাতীয় পশু ঘোষণা করার কথাও কেন্দ্র সরকারকে বলেন তিনি। আজ আরও একবার জয়নুল আবেদিন তাঁর মন্তব্যে মন জিতে নিলেন সকল ভারতীয়ের।