বাংলাহান্ট ডেস্ক : মহম্মদ মুইজ্জু মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হওয়ার পর থেকে তলানিতে পৌঁছেছে ভারত-মলদ্বীপের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। বিশেষ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ভারতকে নিয়ে মলদ্বীপের মন্ত্রীদের অবমাননাকার মন্তব্যের পর দুই দেশের সম্পর্কে শীতলতা দেখা দিয়েছে। এছাড়াও কিছুদিন আগে চিনা গুপ্তচর জাহাজ শ্রীলঙ্কায় জায়গা না পেয়ে নোঙর ফেলেছে মালে।
পাশাপাশি মলদ্বীপের প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তের পর সে দেশ থেকে ভারতীয় জওয়ান প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি। এমন অবস্থায় ভারত মহাসাগরে নজরদারি বৃদ্ধি করতে তৎপর হয়েছে দিল্লি। জানা যাচ্ছে, মলদ্বীপের খুবই কাছে লাক্ষাদ্বীপে দু’টি নৌঘাঁটি তৈরি করবে ভারতীয় নৌসেনা। নৌসেনার পরিকল্পনা রয়েছে লাক্ষাদ্বীপের আগাট্টি দ্বীপ এবং মিনিকয় দ্বীপে দুটি ঘাঁটি তৈরি করার।
আরোও পড়ুন : ছড়াল রসগোল্লা শেষ হয়ে যাওয়া গুজব! তারপরেই হুলস্থূল কাণ্ড বিয়েবাড়িতে, বেঁধে গেল তুমুল যুদ্ধ
ভারতীয় বায়ুসেনার ঘাঁটি রয়েছে লাক্ষাদ্বীপে। এবার লাক্ষাদ্বীপে নির্মাণ করা হবে নৌঘাঁটি। মলদ্বীপ থেকে মাত্র ৫২৪ কিমি দূরে মিনিকয় দ্বীপে তৈরি হবে এই ঘাঁটি। পূর্ব এশিয়া এবং উত্তর এশিয়ার উদ্দেশে যাওয়া বাণিজ্য জাহাজগুলি লাক্ষাদ্বীপ সংলগ্ন আন্তর্জাতিক জলসীমা ধরেই যাতায়াত করে। এই পরিস্থিতিতে এই অঞ্চলে ভারতীয় নৌসেনার বিশেষ গুরুত্ব থাকবে।
চিন যেভাবে ভারত মহাসাগরে নজরদারি বৃদ্ধি করতে চাইছে, তাতে এই অঞ্চলে নজরদারি করা অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়েছে ভারতের। সূত্রের খবর, প্ররক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং মার্চের চার-পাঁচ তারিখে আইএনএস বিক্রমাদিত্য এবং আইনএস বিক্রান্ত টাস্ক ফোর্সে করে যাবেন মিনিকয় দ্বীপে। সেখানে তিনি উদ্বোধন করবেন আইনএস জটায়ু নামক নৌঘাঁটি। মনে করা হচ্ছে সমুদ্রপথে এই যাত্রার মাধ্যমে ভারত নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করবে।