সাগরে দাপট ভারতীয় নৌসেনার! ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জলদস্যুদের হাত উদ্ধার দু’দুটি জাহাজ সহ ১৯ পাকিস্তানি

বাংলা হান্ট ডেস্ক : গত ২৮ এবং ২৯ জানুয়ারি, মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যে দুটি বড় ছিনতাই প্রচেষ্টা ব্যর্থ করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী (Indian Navy)। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে খবর, ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ আইএনএস সুমিত্র রবিবার ইরানী জাহাজ এফভি ইমানকে উদ্ধার করার পর আরেকটি অভিযানে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবল থেকে জাহাজ আল নাইমিকে উদ্ধার করেছে। ভারতীয় মেরিন কমান্ডোরাও এই অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।

সূত্রের খবর, ঘটনাটি ঘটেছে কেরালার কোচি উপকূল থেকে ৮০০ মাইল দূরে। জলদস্যুরা ইরানের পতাকাবাহী জাহাজ এবং এর ক্রু সদস্যদের এখানে আটক করে। খবর পেয়ে ভারতীয় নৌবাহিনী তাদের যুদ্ধজাহাজ আইএনএস সুমিত্রকে পাঠিয়ে সবাইকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়। তারপর থেকেই ভারত মহাসাগর অঞ্চলের সর্বত্রই ভারতের কঠোর নজরদারি রয়েছে।

সম্প্রতি ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ জানিয়ে একটি বিবৃতি জারি করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী। তাতে বলা হয়েছে জাহাজে থাকা ১৯ জন ক্রু সদস্যের সকলেই পাকিস্তানি নাগরিক। জাহাজটি ঘিরে ফেলে মেরিন কমান্ডোরা। পাশাপাশি হামলাকারী জাহাজের ১১ জন জলদস্যুকেও পাকড়াও করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়াও সোমবার আরব সাগরের এডেন উপসাগরের কাছে অপহৃত একটি ইরানি জাহাজকেও উদ্ধার করেছে।

নৌবাহিনীর মুখপাত্র কমান্ডার বিবেক মাধওয়াল জানিয়েছেন, সোমালিয়ার পূর্ব উপকূল এবং এডেন উপসাগরের এই অভিযানে মোতায়েন আইএনএস সুমিত্র ইরানের পতাকাবাহী মাছ ধরার জাহাজ (এফভি) ইমান থেকে একটা বার্তা পায়। সঙ্গে সঙ্গে তৎপর হয়ে ওঠে ভারতীয় নৌ জাহাজ। ছিনতাই হওয়া জাহাজটি আটকায় এবং আটক হওয়া ১৭ জন ক্রু সদস্যকে উদ্ধার করেন।

indian navy

একথা বলাই বাহুল্য যে, ভারত মহাসাগরে ভারতীয় নৌবাহিনীর মর্যাদা এবং প্রাসঙ্গিকতা বাড়ছে। দুই দিন আগে, ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধজাহাজ ২২ জন ভারতীয় ক্রু নিয়ে মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের কাছে একটি বাণিজ্যিক তেল ট্যাঙ্কারে আগুন নিভিয়ে ফেলেছিল। গত ৫ জানুয়ারি উত্তর আরব সাগরে লাইবেরিয়ান জাহাজ এমভি লীলা নরফোক হাইজ্যাক করার চেষ্টা ব্যর্থ করে এবং সমস্ত ক্রু সদস্যকে নিরাপদে উদ্ধার করে ভারতীয় নৌসেনা। ২৩ ডিসেম্বর, নৌবাহিনী লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী জাহাজ এমভি কেম প্লুটোকে ভারতের পশ্চিম উপকূলে ড্রোন হামলা থেকে উদ্ধার করেছিল।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর