বাংলাহান্ট ডেস্ক : আজ থেকে ১৬ বছর আগে ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলায় কেঁপে উঠেছিল দেশ। আজো ২৬/১১-র রক্তাক্ত স্মৃতি বহন করে চলেছে মুম্বই নগরী। সেই ঘটনার পর এক দশকেরও বেশি সময় কেটে গেলেও সন্ত্রাসবাদী হামলার আতঙ্ক এখনো যায়নি। উড়ো ফোনে মাঝে মাঝেই চাঞ্চল্য ছড়ায় দেশের বিভিন্ন জায়গায়। এমতাবস্থায় আবারো যাতে আরেকটা ২৬/১১-র পুনরাবৃত্তি না হয় তার জন্য এবার বিশেষ উদ্যোগ নিল ভারতীয় সেনা (Indian Navy)।
নিরাপত্তা বলয় তৈরি করছে ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy)
জলপথে যাতে কোনো রকম হামলা না হতে পারে তা সম্পূর্ণ নিশ্চিত করতে সমুদ্রের বুকে গড়ে তোলা হচ্ছে শক্তপোক্ত বর্ম, যা ভেদ করে জলপথ দিয়ে দেশে ঢোকার ক্ষমতা হবে না কারোর। জানা যাচ্ছে, এই নিরাপত্তা বলয়ে যেমন থাকছে ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy), তেমনি থাকছে মৎস্যজীবীরাও। নৌসেনা, উপকূলরক্ষী বাহিনী, উপকূলের দায়িত্বে থাকা পুলিশ বাহিনী, শুল্ক দফতরের সঙ্গে নজরদারি নৌকা, জাহাজ এবং মৎস্যজীবীদের নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে এই নিরাপত্তা বলয়।
কী কাজ করবে এই বলয়: এই নিরাপত্তা বলয়ের প্রধান কাজ হবে, জলপথে কোনো অনুপ্রবেশের চেষ্টা হলেই তা রুখে দেওয়া। তবে একেবারে প্রাথমিক স্তর থেকে নৌসেনা (Indian Navy) পর্যন্ত এতগুলো বাহিনী সহ এতজন মানুষকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করে একটা নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা তো আর চাট্টিখানি কথা নয়। এ বিষয়ে গাইডলাইন তৈরি করার কাজও ইতিমধ্যেই সারা হয়ে গিয়েছে। এবার দেশের স্পর্শকাতর উপকূল এলাকাগুলিতে শুরু হয়ে গেল সি ভিজিল ২০২৪।
আরো পড়ুন : ‘আর যেন গালওয়ান না হয়’, সেনা প্রত্যাহারের পর প্রথম বৈঠক, চিনকে কড়া বার্তা রাজনাথের
কোথায় কোথায় চলছে মহড়া: সি ভিজিল বা জলপথে নিরাপত্তা বর্ম তৈরি করার মহড়া শুরু হয়ে গিয়েছে উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে। এর মধ্যে স্পর্শকাতর এলাকা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে গোয়া, কেরল, লাক্ষাদ্বীপ, আন্দামান এবং নিকোবর এর মতো অঞ্চলগুলি।
আরো পড়ুন : মেয়ের জন্মদিনে একাই আয়োজন ঐশ্বর্যর, আরাধ্যার বিশেষ দিনে পাশেও থাকলেন না অভিষেক!
উল্লেখ্য, এর আগেই তিনটি বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ চেয়েছিল ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy)। নৌবাহিনীর কাছে আগে থেকেই রয়েছে আইএনএস বিক্রান্ত এবং আইএনএস বিক্রমাদিত্য। মাঝে গুজব ছড়িয়েছিল, ৬ টি সাবমেরিন কেনার জন্য নাকি তৃতীয় বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজের পরিকল্পনা স্থগিত রাখা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। তবে জানা গিয়েছে, এটা শুধুই গুজব। ইতিমধ্যেই তিন নম্বর যুদ্ধজাহাজের কাজে হাত দেওয়া হয়েছে।