বাংলাহান্ট ডেস্কঃ গনিতের সাথে ভারতের যোগ বহু বছর ধরে। গনিতের সবচেয়ে বড় আবিষ্কার শূণ্য (0) এর ধারণা প্রথম দেন ভারতের গনিতবিদ আর্যভট্ট। ধারনা করা হয় বিখ্যাত পিথাগোরাস থিয়োরেমের আবিষ্কার পিথাগোরাসেরও অনেক আগে করে ফেলেছিলেন ভারতের গনিতবিদেরা। সেই ভারতের আরেক যুবক নীলকান্ত এবার বিশ্বকে তাক লাগিয়ে অঙ্ক কষায় বিশ্বসেরার মুকুট ছিনিয়ে আনল।
মানব ক্যালকুলেটর নীলকান্ত ভানু প্রকাশের বয়স মাত্র ২০। এই বয়সেই তিনি অঙ্কের দুনিয়ার উসেইন বোল্ট। মাত্র কয়েক মুহুর্তে সে কষে ফেলতে পারে জটিল থেকে জটিলতর অঙ্ক। যা কষতে একজন সাধারণ মানুষের বেশ কিছুটা সময় লেগে যায়।
জানা যাচ্ছে, মাত্র ৫ বছর বয়সে সে একবার দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। প্রায় ১ বছর তাকে শয্যাশায়ী হয়ে থাকতে হয়। আর সেই সময়ই তার মাথার ভিতর চলতে শুরু করে সংখ্যা নিয়ে খেলা। সেই খেলাই পরবর্তীকালে তাকে তৈরি করেছে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত মানব ক্যালকুলেটর হিসাবে।
যদিও অঙ্কের জগৎ থেকে বাস্তবের মাটিতে পা দিয়ে নীলকান্ত ভানু প্রকাশ জানিয়েছেন, তিনি মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। শুধু অঙ্ক নিয়ে পরে না থেকে তাকে করতে হবে উপার্জনও৷ তিনি নিজের স্বাধীন ব্যাবসা খুলতে চান। তবে অঙ্ক নিয়ে খেলাটা তিনি চালিয়ে যাবেন কারন সংখ্যাই তার প্যাশন।