বাংলাহান্ট ডেস্ক: বিশ্ব চালাচ্ছেন ভারতীয়রাই! বিভিন্ন সংস্থার শীর্ষপদে রয়েছেন একাধিক ভারতীয়। গুগল (Google) হোক বা মাইক্রোসফট (Microsoft), বিশ্বের একাধিক প্রথমসারির সংস্থা চালাচ্ছেন ভারতীয়রা। এ বার সেই তালিকায় যোগ হল আরও এক ভারতীয়ের নাম। সংস্থাটিও একেবারে প্রথমসারির। বিশ্বের অন্যতম বড় সংস্থা হল ইউটিউব (Youtube)। সেই সংস্থারই শীর্ষপদে বসতে চলেছেন এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত।
সরে দাঁড়িয়েছেন ইউটিউবের সিইও সুজান ওজসিসকি (Susan Wojcicki)। তাঁর জায়গায় এ বার সেই স্থানে বসতে চলেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান নীল মোহন (Neal Mohan)। তবে কবে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে এই দায়িত্ব নেবেন, তা এখনও জানানো হয়নি। তবে আশা করা হচ্ছে, খুব শীঘ্রই বিশ্বের সবচেয়ে বড় অনলাইন ভিডিও প্ল্যাটফর্মের দায়িত্ব নেবেন নীল। এতদিন ইউটিউবের চিফ প্রোডাক্ট আফিসার পদে ছিলেন তিনি।
তবে এ বার তিনি বসতে চলেছে সিইও অর্থাৎ একেবারে শীর্ষপদে। উল্লেখ্য, গুগলে অ্যাড প্রোডাক্টেসের সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ করেছিলেন সুজান। তারপর ২০১৪ সালে সেখান থেকে ইউটিউবের সিইও হন তিনি। সুজান হলেন গুগলের শুরুর সময়কার অন্যতম কর্মী। তিনি প্রায় ২৫ বছর ধরে গুগলের মূল সংস্থা অ্যালফাবেটের (Alphabet Inc) সঙ্গে যুক্ত আছেন। একটি ব্লগপোস্টে সুজান জানান, এ বার পরিবার, স্বাস্থ্য ও ব্যক্তিগত কাজের দিকে মন দেওয়ার পালা। তাই ইউটিউবের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন তিনি।
সিইও হিসেবে দায়িত্ব ছাড়ার পর ইউটিউবের কর্মীদের একটি ইমেল পাঠিয়েছেন ৫৪ বছরের সুজান। সেখানে লিখেছেন, ‘অ্যালফাবেটে প্রায় ২৫ বছর কাটিয়েছি। আজ ইউটিউবের প্রধানের পদ থেকেও সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি। এটিই সঠিক সময়। আমি মনে করি, আমার এই কাজটি করতে পারার কারণ এখানে একটি দুর্দান্ত নেতৃত্ব প্রদানকারী দল আছে।’ইউটিউবের নয়া প্রধান কে হতে চলেছেন, তাও স্পষ্ট করে দেন সুজান।
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “৯ বছর আগে ইউটিউবে যোগ দেওয়ার সময় আমার লক্ষ্য ছিল একটি দারুণ নেতৃত্ব প্রদানকারী দল গঠন করা। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন নীল মোহন। উনি ইউটিউবের এসভিপি। এ বার নয়া প্রধান হওয়ার সময় এসেছে তাঁর।” প্রসঙ্গত, নীল মোহন স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক করেছিলেন। এছাড়াও ২০১৫ সাল থেকে ইউটিউবের চিফ প্রোডাক্ট অফিসার ছিলেন।
তাঁর কেরিয়ার শুরু হয়েছিল ১৯৯৬ সালে Accenture সংস্থা থেকে। পরবর্তীতে NetGravity নামক এক স্টার্ট-আপে যোগ দ্যেছিলেন। এটি পরে অধিগ্রহণ করে নেয় বিজ্ঞাপন সংস্থা DoubleClick। এরপর ২০০৭ সালে এই সংস্থা কিনে নেয় Google। এরপর গুগলের বিভিন্ন বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল নীলের। ইউটিউব ছাড়াও মার্কিন পার্সোনাল স্টাইলিং সার্ভিস সংস্থা Stitch Fix এবং বায়োটেক সংস্থা 23andMe-র বোর্ডেও আছেন নীল।