বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ পাকিস্তান ক্রিকেট দল (Pakistan Cricket Team) দুই দিন আগে ভারতের মাটি ছুঁয়েছে। আর আজ তারা নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের (New Zealand Cricket Team) বিরুদ্ধে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে নেমেছে। ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর এই প্রথমবার কোনও ক্রিকেট সংক্রান্ত ইভেন্টের জন্য পাকিস্তান ক্রিকেট দল ভারতে এলো। এবারও তারা বিশ্বকাপ (2023 ODI World Cup) খেলার উদ্দেশ্যেই ভারতের মাটিতে পা রেখেছে তারা যখন হায়দারাবাদ এয়ারপোর্ট থেকে তিন বছর উদ্দেশ্যে রওনা হয় তখন ক্রিকেট ভক্তদের আগ্রহ ও উদ্দীপনা ছিল নজরে পড়ার মতো।
এশিয়া কাপে হতশ্রী পারফরম্যান্সের পর একটু বিশ্রাম নিয়েছিল পাকিস্তান দল। কিন্তু ভারতের মাটিতে পা রেখে আর কোনরকম সময় নষ্ট না করে তারা অনুশীলন শুরু করে দিয়েছিল। আর আজ তারা নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে নেমেছিল। তাদের দুই তারকা ব্যাটার বাবর আজম এবং মহম্মদ রিজওয়ান অসাধারণ ব্যাটিং করেন এবং পাকিস্তান ৫০ ওভারে ৩৪৫ রান স্কোরবোর্ডে তোলে।
বাবার আজম ব্যাট হাতে ৮০ রান করেন। সাউদ শাকিল করেন ৭৫ রান। তবে ব্যাট হাতে পাকিস্তানের আসল নায়ক ছিলেন রিজওয়ান। এই উইকেট রক্ষক ব্যাটার ৯৪ বলে ১০৩ রানের একটি প্রশংসনীয় ইনিংস খেলে তারপর রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে বাকিদের ব্যাটিং করার সুযোগ করে দেয়। কিন্তু তাদের বোলাররা একেবারেই মন জিততে পারলেন না।
আজ নিউজিল্যান্ডের ভারতীয় বংশোদ্ভূত ক্রিকেটার রাঁচিন রবীন্দ্রর ব্যাটের সামনে ধ্বংস হয়ে যায় পাকিস্তানের বোলিং অ্যাটাক। পরীক্ষামূলকভাবে তাকে আজকের প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ওপেন করতে পাঠানো হয়েছিল। বিধ্বংসী ব্যাটিং করে মাত্র ৩ রানের জন্য শতরান হাতছাড়া করে ফেরেন তিনি। তার ৭২ বলে ৯৭ রানের ইনিংসের পাশাপাশি আইপিএলে চোট পেয়ে দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকা এবং আজ প্রত্যাবর্তন করা কেন উইলিয়ামসন (৫৪), ড্যারেল মিচেল (৫৯) এবং মার্ক চাপম্যানের ব্যাটে ভর করে ৩৮ বল বাকি থাকতেই পাকিস্তানের দেওয়া ৩৪৬ রানের টার্গেট তাড়া করে নেয় নিউজিল্যান্ড।
রাঁচিন রবীন্দ্র নিউজিল্যান্ড দলে আছেন মূলত একজন অফস্পিনার হিসেবে। বল হাতে এদিন সাফল্য পাননি তিনি। কিন্তু তাকে ওপেনিং এ পাঠানোর যে এক্সপেরিমেন্ট নিউজিল্যান্ড কোচ গ্যারি স্টেড করেছিলেন সেটা সফল হল। রাঁচিনের বাবা এক সময়ে ব্যাঙ্গালোরে ক্রিকেট খেলেছেন। কিন্তু কিছু কারণবশত তাদের নিউজিল্যান্ডে পাকাপাকিভাবে বসবাস করতে হলেও ভারতের সঙ্গে কখনোই সংযোগ ছিন্ন হয়নি রাঁচিনের। ছোটবেলায় তার পরিবার রাহুল দ্রাবিড় এবং সচিনের নাম যুক্ত করে তার নাম রাঁচিন রেখেছিলেন। নিউজিল্যান্ডে শীতের ছুটি চলাকালীন তিনি ভারতে আসতেন এবং ক্রিকেট খেলতেন যে অভিজ্ঞতা তাকে পরবর্তীতে নিউজিল্যান্ডের একজন অলরাউন্ডারে পরিণত হতে সাহায্য করেছে।