বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: সদ্যসমাপ্ত সিরিজে নিউজিল্যান্ডকে দুরমুশ করে টেস্ট সিরিজ জিতেছে ইংল্যান্ড। নতুন অধিনায়ক বেন স্টোকস এবং নতুন কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকুলামের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই প্রথম টেস্ট সিরিজ ছিল ইংল্যান্ড টেস্ট দলের। তাদের দুজনের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে এখন আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলছে ইংল্যান্ড টেস্ট দল। গতবছরের ভাঙ্গাচোরা টিমটাকে যেন রাতারাতি বদলে দিয়েছে এই দুজনের নতুন দায়িত্ব নেওয়া। কিন্তু নিউজিল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে দিল ভারতের বিরুদ্ধে লড়াই অতটা সহজ হবে না।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাঝের ওভার গুলিতে দ্রুতগতিতে রান তুলে ম্যাচের রঙ বারবার বদলে দিয়েছেন জনি বেয়ারস্টো। কিন্তু ভারতের বিরুদ্ধে একই সমীকরণ অনুসরণ করতে গেলে বেকায়দায় পড়তে পারে ইংল্যান্ড দল। কারণ ভারতের হাতে রয়েছে একটা যশপ্রীত বুমরা, এই মুহূর্তে যার মতন ইয়র্কার এই মুহূর্তে বিশ্বের আর খুব কম বোলারই ডেলিভার করতে পারে। তিনি পাশে পাবেন মহম্মদ শামিকে, যার উপস্থিতি যে কোনও ব্যাটিং লাইনআপ কে সমস্যায় ফেলার ক্ষমতা রাখে।
মূলত বোর্ড ছাড়া নিউজিল্যান্ড বোলিংয়ে খুব একটা কেউই ইংল্যান্ড ব্যাটারদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারেননি। মাঝের ওভার গুলিতে কিন্তু ভারতের হাতে এমন স্পিনারও রয়েছে যারা যেকোনো পরিস্থিতিতে এখন ম্যাচের রং বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। রবীচন্দ্রন অশ্বিন রবীন্দ্র জাদেজা এখন আগের চেয়ে অনেক পরিণত। পেস বোলিং বান্ধব পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত বাউন্স কে কাজে লাগিয়ে তারা ব্যাটসম্যানদের চমকে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন ফলে ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে যতটা মন খুলে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলেছে ভারতের বিরুদ্ধে কতটা আক্রমনাত্মক ক্রিকেট খেলা তাদের পক্ষে হয়তো সম্ভব হবে না।
ইংল্যান্ডের পরিস্থিতিতে যেখানে পেসাররা অতিরিক্ত সুবিধা পেয়ে থাকেন, সেখানে ভারতের চতুর্থ বা তৃতীয় পেসার হিসেবে উমেশ যাদব, শার্দুল ঠাকুর, মহম্মদ সিরাজরাও বিপজ্জনক হয়ে ওঠার ক্ষমতা রাখেন। তার ওপর এই সিরিজে এগিয়ে রয়েছে ভারত ফলে তাদের কিছু করার নেই বরং চিত্রে পাওয়া যাবে অভাবনীয় এক সাফল্য। উল্টো দিকে কিছুটা হলেও চাপে থাকবে ইংল্যান্ড দল কারণ প্রায় পনেরো বছর পর ভারতের সামনে সুযোগ রয়েছে ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জেতার। এই অবস্থায় বেন স্টোকস মানসিকভাবে বিরাট কোহলিদের চেয়ে বেশি চাপে থাকবেন।