বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারতীয় রেল (Indian Railways) আমাদের দেশের লাইফ লাইন। প্রতিনিয়ত লক্ষ লক্ষ যাত্রী এই ট্রেনে চেপেই সফর করে থাকেন দূর-দূরান্তে। কাছের হোক কিংবা দূরের যে কোন গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর জন্য ভারতীয়দের প্রথম পছন্দের গণপরিবহন ব্যবস্থা হল ভারতীয় রেল। তাই বছরের পর বছর ধরে এই পরিবহন ব্যবস্থার ওপরেই চোখ বন্ধ করে চলেছেন রেলযাত্রীরা।
ট্রেনে চেপেই প্রতিনিয়ত লক্ষ লক্ষ যাত্রী সফর করে থাকেন দূর দূরান্ত। এই বিপুল সংখ্যক যাত্রীরা মোট আট হাজার রেলস্টেশন বা জংশন থেকে ট্রেনে ওঠা-নামা করে থাকেন। প্রসঙ্গত স্টেশন হোক কিংবা জংশন (Junction) দেখতে প্রায় একই হলেও দুটির মধ্যে কিন্তু রয়েছে বিরাট পার্থক্য।
জংশন মূলত সেই স্টেশনগুলোকে বলা হয় যেখান থেকে একাধিক লাইনের ট্রেন ছাড়ে। আর স্টেশনের উপর দিয়ে মূলত একটি লাইনের ট্রেনই যাওয়া আসা করে থাকে। তাই স্বাভাবিকভাবেই স্টেশনের তুলনায় জংশন গুলিতেই যাত্রীরা বেশি সুবিধা পেয়ে থাকেন। তবে আমাদের দেশে এখনও এমন স্টেশন রয়েছে যেগুলি জংশন হওয়ার দাবী রাখলেও এখনও স্টেশন হিসেবেই পরিচিত।
ঠিক তেমনি বহুদিন ধরেই জংশনের দাবি জানিয়ে আসছে আমাদের বাংলারই একটি জনপ্রিয় রেলস্টেশন। যা অবশেষে ভারতীয় রেলের তরফে জংশনের তকমা পেয়েছে। বাংলার এই বিখ্যাত রেলস্টেশনটি হল মুর্শিদাবাদ (Murshidabad)। সম্প্রতি এই স্টেশনের মুকুটে জুড়েছে নতুন তকমা। তাই মুর্শিদাবাদ এখন আর স্টেশন নয় হয়ে গিয়েছে জংশন।
আরও পড়ুন: গুজরাতে তৈরী টাটার আরও উন্নত কারখানা! যাত্রীবাহী বৈদ্যুতিন গাড়ি তৈরিতে আনছে বিরাট চমক
মুর্শিদাবাদ হল বাংলার অন্যতম ঐহাসিক একটি পযটনকেন্দ্র। ব্রিটিশ শাসক থেকে শুরু করে বাংলার রাজরাজাদের কাছেও এই জায়গাটি ছিল একটি শক্ত ঘাঁটি। তাই বাংলার এই জেলার ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। প্রসঙ্গত মুর্শিদাবাদের হাজারদুয়ারি থেকে শুরু করে সিরাজউদ্দৌলা সমাধি ক্ষেত্র বিভিন্ন জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রগুলির ঘুরে দেখার জন্য আসেন শয়ে শয়ে পর্যটক। তাই শিয়ালদা ডিভিশনের আওতায় থাকা মুর্শিদাবাদের প্রতিটি রেলস্টেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রসঙ্গত এই মুর্শিদাবাদ রেলস্টেশনটি মূলত হাজারদুয়ারির প্যালেসের আদলে তৈরি । এতদিন এই রেলস্টেশন কেবলমাত্র মুর্শিদাবাদ স্টেশন হিসেবেই উল্লেখ করা হলেও বর্তমানে মুর্শিদাবাদ নামের পাশে জুড়ে গিয়েছে জংশন শব্দটি। মুর্শিদাবাদ জংশন লেখা বোর্ড টানানো হয়েছে রেলস্টেশনের বাইরেও।