বাংলা হান্ট ডেস্ক: ধীরে ধীরে বেড়ে চলেছে ভারতীয় রেলের পরিষেবা (Indian Railways)। মোদী সরকার ঢেলে সাজিয়েছে রেল ব্যবস্থাকে। দিন দিন আরো আধুনিক এবং আরো উন্নত হচ্ছে রেলের বহর। সেইসাথে যাত্রী সংখ্যাও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। কাছে হোক বা দূরে, যাতায়াতের জন্য রেলপথকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকে যাত্রীরা। সম্প্রতি এই এক্সপ্রেস ট্রেন নিয়েই জারি হয়েছে নতুন নির্দেশিকা।
ইতিমধ্যেই শতাব্দী, রাজধানী, গতিমান এক্সপ্রেসের সাথে যুক্ত হয়েছে বন্দে ভারতের মত সেমি হাইস্পিড ট্রেন। দেশের বহু মানুষ এই পরিষেবা নিচ্ছেন। চটজলদি কোথাও পৌঁছানোর জন্য এই বন্দে ভারত ট্রেন আদর্শ। তবে সকলেই কি এই সেমি হাইস্পিড ট্রেনের ভাড়া দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন? তাই দেশের অন্যান্য এক্সপ্রেস ট্রেনগুলির গতিবেগ বাড়ানোর কথা চিন্তা করছে ভারতীয় রেল।
রেল সূত্রে খবর, নর্থ ওয়েস্টার্ন রেলওয়ে জোন (North Eastern Railway zone) তার চারটি বিভাগের অধীনে চলাচলকারী দূরপাল্লার ট্রেনগুলির গতি বাড়ানোর কথা বিবেচনা করছে। এতে সকল যাত্রীর সময়ও বাঁচবে এবং পাশাপাশি লাইনের জ্যাম-ও কমবে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন, নর্থ ওয়েস্টার্ন রেলওয়ের সিপিআরও ক্যাপ্টেন শশী কিরণ। তিনি জানিয়েছেন, জয়পুর থেকে কলকাতা, জয়পুর থেকে চেন্নাই, জয়পুর থেকে মুম্বাই, জয়পুর থেকে পাটনা, বিকানের থেকে মুম্বাই, যোধপুর থেকে মুম্বাই এবং একইভাবে আজমীর পর্যন্ত ট্রেনের গতি বাড়ানো হবে। এতে খুব কম সময়ে সফর শেষ করতে পারবে যাত্রীরা।
পাশাপাশি কানাঘুষা এমনটাও শোনা যাচ্ছে, এনডব্লিউআর রাজধানী ও এক্সপ্রেস ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটারে নিয়ে যাওয়ারও পরিকল্পনা করছে। তবে এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যাটি সামনে আসছে তা হল গবাদি পশু। কমবেশি ভারতের সমস্ত রেলপথই বিভিন্ন গ্রাম বা শহরতলীর পাশ দিয়ে যায়। আর তাই প্রায়শই গরু ছাগলের উপদ্রপ শুরু হয় ট্র্যাকের উপর। যারফলে নানা দুর্ঘটনার খবরও সামনে আসে।
এমতাবস্থায় ট্রেনের স্পিড বাড়লে দুর্ঘটনার ঝুঁকি যে অনেকটাই বেড়ে যাবে সেকথা বলাই বাহুল্য। আর সেই কারণেই রেললাইনের পাশ বরাবর বেড়া ও কাঠের মোটা প্রাচীরের নির্মাণ করার পরিকল্পনা করেছে ভারতীয় রেল। এতে করে পশুরা ট্র্যাকে আসতে পারবেনা এবং রেল দুর্ঘটনার ঝুঁকি অনেকটাই কমবে বলে আশা করা যায়।