বাংলাহান্ট ডেস্ক : শহর থেকে শহরতলি, মফস্বল থেকে গ্রাম, লক্ষ লক্ষ ভারতীয়র গন্তব্যে পৌঁছানোর সেরা বিকল্প রেল ব্যবস্থা। স্কুল-কলেজ হোক কিংবা অফিস, সবক্ষেত্রেই দেশের গণপরিবহণ ব্যবস্থার মেরুদন্ড হয়ে উঠেছে রেল (Indian Railways)। তবে ট্রেন (Train) লেট করা নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ নতুন কিছু নয়।
হাওড়া-শিয়ালদা সম্পর্কিত ভারতীয় রেলের (Indian Railways) তথ্য
অধিকাংশ সময়ই দেখা যায়, নির্দিষ্ট টাইমটেবিলের চেয়ে অনেকটাই দেরিতে চলাচল করছে লোকাল কিংবা দূরপাল্লার ট্রেন। সাম্প্রতিক অতীতে ট্রেন লেট যেন ডেইলি রুটিনে পরিণত হয়েছে হাওড়া ডিভিশনে। কখনও ২০ মিনিট, তো আবার কখনও আধ ঘন্টা পর্যন্ত লেট করছে লোকাল ট্রেন। অফিস টাইমের ব্যস্ত সময়ে রেলের এই অব্যবস্থায় ক্ষুদ্ধ নিত্যযাত্রীরা।
আরও পড়ুন : থরথর করে কাঁপবে শত্রুরা! এবার দেশের প্রত্যেক জওয়ানের মাথার ওপরে থাকবে ভয়ঙ্কর “ব্রহ্মাস্ত্র”
তার উপর ‘মরার উপর খাড়ার ঘা’ হিসাবে রয়েছে শনি ও রবিবার করে ট্রেন বাতিলের সিদ্ধান্ত। যাত্রীরা বলছেন, এই একই অবস্থা আগে ছিল শিয়ালদহতেও। রাত বাড়ার সাথে সাথে অনিয়মিত হয়ে পড়ত ট্রেন চলাচল। তবে ভারতীয় রেলের (Indian Railways) পরিসংখ্যান বলছে, নিয়ম মেনে ট্রেন চলাচলের তালিকায় হাওড়াকে অনেকটাই পিছনে ফেলে দিয়েছে শিয়ালদহ।
আরও পড়ুন : মুখ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গী কুণাল ঘোষ! লন্ডন সফরের অনুমতি দিয়ে যা বলল হাইকোর্ট…
নির্দিষ্ট সূচি মেনে ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রে বেশ কিছুটা বেশি পয়েন্ট নিয়ে শিয়ালদহ (Sealdah) ডিভিশন এখন অনেকটাই এগিয়ে হাওড়ার (Howrah) তুলনায়। ট্রেন লেট করা নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে অসন্তোষ থাকলেও, সমস্যা এখনই মেটানো সম্ভব নয় বলে স্পষ্টভাবে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। দক্ষিণ পূর্ব রেলের খড়গপুর ডিভিশনের অবস্থা সব থেকে শোচনীয় হয়ে উঠেছে ইদানিংকালে। তবে হাওড়ার চেয়ে অপেক্ষাকৃত ভালো জায়গায় রয়েছে আসানসোল, মালদা, আলিপুরদুয়ার ডিভিশন।
হাওড়া ডিভিশনের রেল আধিকারিকের কথায়, বিভিন্ন শাখায় প্রতিদিন ৪৬-৪৭টি রেক ৪৬২ বার সার্ভিস দিয়ে থাকে। দিনে গড়ে সাত থেকে আটবার চলে এক-একটি রেক। একবার যদি একটা ট্রেন লেট করে, তাহলে সেদিন ওই ট্রেনটি যতবার চলবে ততবারই একই অনুপাতে লেটে চলাচল করবে। পাশাপাশি ইদানিংকালে সমস্যা বাড়িয়েছে রক্ষণাবেক্ষণ, ব্লকিং ও অপর্যাপ্ত প্ল্যাটফর্মের সংখ্যা।