বাংলাহান্ট ডেস্ক : আজ ভারতীয় রেলের (Indian Railways) নেটওয়ার্ক পৌঁছে গেছে ভারতের প্রায় সব প্রান্তে। ভারতীয় রেলের ১৭০ বছরের ইতিহাসে রয়েছে নানা অজানা কাহিনী। ভারতীয় রেলের গোড়াপত্তন হয়েছিল ইংরেজদের হাত ধরে। প্রথমে নিজেদের ব্যবসার খাতিরে এই ভারতে রেল (Indian Railways) ব্যবস্থা প্রতিস্থাপন করে ব্রিটিশরা।
ভারতীয় রেলের (Indian Railways) শেষ স্টেশন
তারপর ক্রমে ভারতীয় রেল (Indian Railways) হয়ে ওঠে প্রত্যেকটি সাধারণ মানুষের নিত্যদিনের সঙ্গী। ভারতীয় রেলের শুরু থেকেই রয়েছে নানান বিচিত্র কাহিনী। কোনওটা ঐতিহাসিক, আবার কোনওটা মিথ। আজ আমরা এমন একটি স্টেশন (Railway Station) সম্পর্কে আপনাদের জানাতে চলেছি যার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রয়েছে নানান ইতিহাস।
আরোও পড়ুন : দুর্দান্ত খবর! কর্মখালি এবার জাদুঘরে! আবেদন করতে কী যোগ্যতা লাগবে দেখুন
বর্তমানে এই স্টেশন থেকে ছাড়ে না কোনও ট্রেন। শুধুমাত্র ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ট্রেন এর উপর দিয়ে চলে যায় এক দেশ থেকে অন্য দেশে। ভারত (India) ও বাংলাদেশের (Bangladesh) মধ্যে যাতায়াতকারী পণ্যবাহী ট্রেন এই স্টেশনের উপর দিয়ে চলাচল করে। তবে সাধারণ যাত্রীদের ভিড় চোখে পড়ে না এখানে।
আরোও পড়ুন : তৃণমূলের নেতৃত্বে ‘দাদাগিরি’? জুনপুটে ক্ষেপনাস্ত্র উৎক্ষেপণের কাজ বন্ধ করল DRDO, তুঙ্গে শোরগোল!
অন্যান্য স্টেশনের মতো এখানে নেই ব্যস্ততা। নেই ট্রেন ধরার তাড়া। ব্রিটিশ সেন্ট্রাল রেলওয়ে কোম্পানি ১৮৮৪ সালে দমদম থেকে বর্তমান বাংলাদেশের খুলনা পর্যন্ত বর্তমান বনগাঁ শহরের মাঝ দিয়ে চালু করে একটি ব্রডগেজ লাইন। পরাধীন ভারতে বরিশাল এক্সপ্রেস শিয়ালদা থেকে শুরু হয়ে পৌঁছে যেত ওপার বাংলায়।
১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর পেট্রাপোল (Petrapole) স্টেশন তৈরি হয় ভারতের দিকে, আর বেনোপোল (Benapole) স্টেশন তৈরি হয় বাংলাদেশের দিকে। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর দুই দেশের মধ্যে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তারপর ২০০০ সালে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় পণ্য আদান-প্রদানের একটি চুক্তি।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে মালবাহী ট্রেনের চলাচল ফের একবার শুরু হয় ২০০১ সালে। ভারতের এই সর্বশেষ স্টেশনটি বনগাঁ শহর থেকে মাত্র চার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বহু মানুষ আজও এই স্টেশনে আসেন শুধুমাত্র ইতিহাসকে চাক্ষুষ করতে। নির্জন এই স্টেশন আজও দাঁড়িয়ে রয়েছে দেশভাগের স্মৃতিকে সঙ্গী করে।