বাংলাহান্ট ডেস্ক : আদিবাসী কুড়মি সম্প্রদায়ের মানুষজনের রেল ও পথ অবরোধ। অবরোধের ফলে ব্যাপক সমস্যায় নিত্যযাত্রীরা। হাওড়া ও আদ্রা ডিভিশনের একাধিক ট্রেন বাতিল (Cancellation) করা হয়েছে এই অবরোধের জেরে। বহু ট্রেনের যাত্রা পথে কাটছাঁট করা হয়েছে। অপরদিকে জাতীয় সড়ক অবরোধ থাকায় পুরুলিয়া,খড়গপুর-সহ মেদিনীপুরের বাসিন্দারা পড়েছেন ব্যাপক সমস্যায়। কুড়মি জনজাতির মানুষজন তীর-ধনুক, ধামসা-মাদল নিয়ে মঙ্গলবার রাতে উপস্থিত হন পুরুলিয়ার কুস্তাউর স্টেশনে।
তারা আন্দোলন শুরু করেন এদিন ভোর পাঁচটা থেকে। ‘রেলটেকা ও ডহর ছেঁকা’ নাম দেওয়া হয়েছে এই আন্দোলনের। রেলের পক্ষ থেকে জানা গেছে, ৪৯টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে এই আন্দোলনের ফলে। বাতিল হওয়া এক্সপ্রেস ট্রেনের তালিকায় রয়েছে টাটা-হাওড়া স্টিল এক্সপ্রেস, হাওড়া-বরবিল জনশতাব্দী, হাওড়া-রাঁচি ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস, হাতিয়া-খড়গপুপ এক্সপ্রেস, হাওড়া-ঘাটশিলা মেমু এক্সপ্রেস। বিকল্প পথ ধরে যাতায়াত করছে ১১ টি ট্রেন। এছাড়া দশটি ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে।
কুড়মি সমাজ এই আন্দোলন প্রসঙ্গে জানিয়েছে, ভাষা, সংস্কৃতি ও ধর্মের লড়াই এটা। আর আলোচনা , প্রতিশ্রুতিতে কাজ হবে না। তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে। কুড়মি সমাজের মূল মানতা অজিতপ্রসাদ মাহাতো বলেছেন, “আমাদের একটাই দাবি আদিবাসী তালিকাভুক্ত করার জন্য সিআরআই রিপোর্টের উপর কমেন্ট- জাসটিফিকেশন কেন পাঠানো হচ্ছে না? রাজ্য সরকার সেটা পাঠিয়ে আমাদের হাতে প্রতিলিপি দিয়ে দিক। আমরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেব।”
পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে বলেছেন, “আসন্ন উৎসব ও সাধারণ মানুষের ভোগান্তির কথা মাথায় রেখে আমরা অনুরোধ করেছিলাম যাতে এই আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। তাদের দাবির জন্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালাতেই পারেন। কিন্তু সাধারণ মানুষকে অসুবিধায় ফেলে এই আন্দোলন মেনে নেবে না আমাদের দল। এই আন্দোলনকে জঙ্গলমহলের সাধারণ মানুষও মানছেন না।”