জানলা-দরজা কিছুই নেই! ভারতের এই ট্রেনটি কী কাজে লাগে, জানলে মাথা চুলকোবেন

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতের পরিবহন মাধ্যমের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হচ্ছে রেল ব্যবস্থা। অধিকাংশ ভারতীয় যাতায়াতের জন্য ভরসা করেন এই ভারতীয় রেলের (Indian Railways) উপর। পরিসংখ্যান অনুযায়ী গোটা দেশে ১২ হাজারেরও বেশি ট্রেন চলাচল করে। সাধারণ যাত্রীবাহী ট্রেন থেকে সুপারফাস্ট ট্রেন, যাত্রার ধরন অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের ট্রেন পরিষেবা আমরা লক্ষ্য করি।

কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না যে আমাদের দেশে এমন এক ধরনের ট্রেন রয়েছে যার বগিতে কোনও দরজা বা জানলা থাকে না। জানলা-দরজা ছাড়া একটি ট্রেন কীভাবে তৈরি হতে পারে সেই কথাই নিশ্চয়ই ভাবছেন? এগুলি কোন কাজে লাগে সেটা নিয়েও হয়তো আপনাদের মনে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আজ আমরা এই ধরনের NMG ট্রেন সম্পর্কে আলোচনা করব।

আমরা যে প্যাসেঞ্জার ট্রেনে যাতায়াত করি সেগুলির আয়ু ২৫ বছর। এই ধরনের ICF (ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি) ট্রেনগুলি ২৫ বছর পর অবসর নেয়। অর্থাৎ একটি যাত্রীবাহী ট্রেন সর্বোচ্চ ২৫ বছর পরিসেবা প্রদান করতে পারে। ২৫ বছরের মধ্যে পাঁচ বছর বা ১০ বছর অন্তর ট্রেনটিকে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। ২৫ বছর হয়ে গেলে ICF কোচগুলিকে আর যাত্রীবাহী ট্রেন হিসেবে ব্যবহার করা হয় না।

জানা গিয়েছে, ২৫ বছর পর এগুলিকে এনএমজি রেক নামে অটো ক্যারিয়ার হিসাবে কাজে লাগানো হয়। NMG এর অর্থ নিউলি মডিফাইড গুডস ওয়াগন। NMG কোচের দরজা-জানলা সম্পূর্ণভাবে সিল করে দেওয়া হয়। এরপর সেটিকে এমন ভাবে তৈরি করা হয় যাতে সহজেই গাড়ি, মিনি ট্রাক এবং ট্রাক্টর দ্বারা লোড এবং আনলোড করা যায়।

E1BTiSkVcAEBAgB

NMG আরো পাঁচ থেকে দশ বছর পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়। এই কোচের সিট, ফ্যান ও লাইট খুলে ফেলা হয়। এরপর শক্তিশালী লোহার স্ট্রিপ লাগানো হয় এর উপর। এখন আপনি যদি মনে করেন যে সিল হয়ে গেলে কীভাবে মাল রাখা হবে, তাহলে আপনাকে মাথায় রাখতে হবে যে সম্পূর্ণরূপে সিল করা মানে জানালা এবং দরজা লক করা। লাগেজ রাখার জন্য এই ট্রেনের একদম পিছনে একটি দরজা করা হয়।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর