বাংলাহান্ট ডেস্ক : ‘আমি সতেরও মা, অসতেরও মা,’ পুত্র স্নেহে যে মা বুকে জড়িয়ে নিয়েছিলেন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল সন্তানকে, সেই মা সারদার স্মৃতি বিজরিত জয়রামবাটিতে শুরু হতে চলেছে ট্রেন পরিষেবা। দীর্ঘদিন ধরেই জয়রামবাটিতে আগত দর্শনার্থীদের দাবি ছিল সরাসরি ট্রেন (Indian Railways-Jayrambati) পরিষেবা চালুর।
ট্রেন (Indian Railways-Jayrambati) ছুটবে জয়রামবাটিতে:
অবশেষে সেই প্রতীক্ষার অবসান ঘটবে খুব শীঘ্রই। সরাসরি ট্রেনে করেই এবার পৌঁছানো যাবে মা সারদার জন্মভুমি জয়রামবাটিতে (Indian Railways-Jayrambati)। জয়রামবাটি মাতৃমন্দিরে প্রতিদিন দেশ-বিদেশ থেকে আসেন প্রচুর সংখ্যক দর্শনার্থী। এতদিন জয়রামবাটিতে পৌঁছানোর জন্য ছিল না সরাসরি কোনও ট্রেন পরিষেবা। এবার নয়া রেল পথের মাধ্যমে সংযুক্ত হতে চলেছে জয়রামবাটি।
আরও পড়ুন : IVF-এ ব্যবহার হয়েছে কার শুক্রাণু? নিরুত্তর ক্লিনিক, শিশুর মৃত্যুর পরেই হাই কোর্টে দম্পতি
নয়া ট্রেন (Train) পরিষেবার ফলে এবার আরও দ্রুত পৌঁছে যাওয়া সম্ভব হবে জয়রামবাটি মাতৃমন্দিরে।জয়রামবাটি মাতৃমন্দিরের আদলে গড়ে উঠেছে নয়া এই স্টেশন। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। সূত্রের খবর, জয়রামবাটি স্টেশনের সিংহভাগ কাজই সম্পন্ন হয়েছে ইতিমধ্যেই। পাশাপাশি বিষ্ণুপুরের সাথে তারকেশ্বরকে যুক্ত করাও অন্যতম মূল উদ্দেশ্যে নয়া এই রেলপথের।
আরও পড়ুন : ইদ উপলক্ষ্যে বড় পদক্ষেপ মোদী সরকারের! দেশের ৩২ লক্ষ দরিদ্র মুসলিম পরিবারের জন্য বিশেষ উপহার
জানা গিয়েছে যে, বাংলার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০০০-২০০১ আর্থিক বছরে বিষ্ণপুর-তারকেশ্বর রেলপথ তৈরির ঘোষণা করেন। সেই ঘোষণা মতো প্রস্তাবিত এই রেলপথে ২০০২-২০০৩ সালে শুরু হয় সমীক্ষার কাজ। সমীক্ষা শেষে ২০০৬-২০০৭ সালে জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু করে রেল।
বিষ্ণুপুর-তারকেশ্বর রেলপথের প্রাথমিক পর্যায়ে বিষ্ণুপুর থেকে গোকুলনগর পর্যন্ত শুরু হয় রেল চলাচল। আরও বেশকিছু দিন পর রেল লাইন সম্প্রসারিত হয় ময়নাপুর পর্যন্ত। দীর্ঘ জটিলতার পর গোপীনাথপুর হয়ে জয়রামবাটি পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ করেছে রেল। স্টেশনের প্রায় সিংহভাগ কাজই এখন শেষ। খুব শীঘ্রই ভক্তরা ট্রেনে চেপেই পৌঁছে যেতে পারবেন মা সরদার জন্মভুমি জয়রামবাটিতে।