Bangla Hunt desk : করোনা লকডাউন প্রথম পর্ব চলাকালীন ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ভারতীয় রেল (Indian Railways) তার সমস্ত পরিষেবা বন্ধ রেখেছিল। দ্বিতীয়, তৃতীয় দফার লকডাউনেও বন্ধ ছিল রেল পরিষেবা৷ চতুর্থ দফার লকডাউনের শুরুতেও রেল পরিষেবা স্বাভাবিক হয় নি। কিন্তু এভাবে আর কতদিন বন্ধ থাকবে রেলের সাধারণ যাত্রী চলাচল? কিভাবে চালু হতে পারে রেল? আসুন জেনে নি লোকাল ট্রেন চালাতে সম্ভাব্য কি ব্যবস্থা নিতে পারে রেল
প্রথমত মানতেই হবে, সোস্যাল ডিস্টেন্স মেনে লোকাল ট্রেন চালানো সহজ কথা নয়৷ পরিসংখ্যান বলছে, একটি বারো বগির লোকাল ট্রেনের স্বাভাবিক যাত্রীবহন ক্ষমতা ১৫০০ জন। কিন্তু অফিস টাইমে যারা লোকাল ট্রেনে যাতায়াত করেছেন, তারা প্রত্যেকেই জানেন আসল সংখ্যাটা গিয়ে ঠেকে দ্বিগুনের বেশী। এই বিশাল যাত্রীকে নিয়ম মেনে রেল যাত্রা করানোটাই সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ রেলকর্তাদের।
দূরপাল্লার ট্রেনের থেকেও রেলের কর্তাদের বেশি ভাবাচ্ছে লোকাল ট্রেন। প্রতিদিন কয়েক কোটি মানুষ ‘ডেইলি প্যাসেঞ্জারি’ বা নিয়মিত ভাবে রেল যাত্রা করেন। হাওড়ায় এই নিত্যযাত্রীর সংখ্যা ১১ লক্ষ এর বেশী। শিয়ালদহে এই সংখ্যা ছাড়িয়ে যায় ১৫ লক্ষ এর গণ্ডিও। কি উপায়ে এই বিপুল যাত্রী পরিবহন করা যায় সেটাই ভাবছে রেল
উপায় ১. অল্টারনেট স্টেশন
লোকাল ট্রেনগুলিকে অল্টারনেট স্টেশনে দাঁড় করানো যেতে পারে। পাশাপাশি বাড়ানো যেতে পারে গ্যালপিং ও থ্রু ট্রেনের সংখ্যা
উপায় ২. ই টিকেটিং এ জোর
রেল যাত্রীদের ই টিকেটিং এ জোর দিতে পারে। রেলের ইউটিএস মোবাইল অ্যাপের ব্যবহার বাড়ানোর ব্যাপারে প্রচার করে টিকিট কাউন্টারে লম্বা লাইন ও ভিড় এড়ানো যেতে পারে।
উপায় ৩. এটিভিএম
এটিভিএম সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি বিভিন্ন স্টেশনে খারাপ হয়ে পড়ে থাকা এটিভিএম যন্ত্রগুলিকেও দ্রুত বদলে ব্যবহারযোগ্য যন্ত্র বসানো হবে বলে খবর রেলসূত্রে। কাউন্টারে টিকিট কাটার লাইনে নির্দিষ্ট দূরত্ব অন্তর চিহ্ন দেওয়ার ব্যবস্থাও থাকবে।
যদিও এই সব আলোচনা এখনো ভূমিপর্যায়ে আছে বলেই জানা। ঠিক কবে কিভাবে আবার লোকাল ট্রেন চালু হবে সে ব্যাপারে কিছুই জানাচ্ছেন না রেল কর্তারা