বাংলাহান্ট ডেস্ক : দেশের পরিবহন ক্ষেত্রে ভারতীয় রেলের (Indian Railways) গুরুত্ব অপরিসীম। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ যাত্রী নিজেদের যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে বেছে নেন রেল ব্যবস্থাকে। যাত্রীদের কথা চিন্তা করে ভারতীয় রেল একের পর এক যুগপোযোগী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে গত কয়েক বছর ধরেই। এবার প্রচলিত শক্তির বদলে অপ্রচলিত শক্তির উপর নির্ভরতা বৃদ্ধি করতে চাইছে ভারতীয় রেল।
নয়া প্ল্যানিং করছে ভারতীয় রেল (Indian Railways)
ভারতীয় রেল নেট জিরো ২০৩০ অধীনেই আগামী দিনে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির উপর দিচ্ছে বিশেষ নজর। প্রচলিত শক্তির বাইরে অপ্রচলিত শক্তি যেমন পারমাণবিক বিদ্যুৎ, সৌর বিদ্যুৎ, জলবিদ্যুৎ, বায়ু এবং তাপবিদ্যুতের উৎসগুলির দিকে ধীরে ধীরে অগ্রসর হওয়ার ভাবনা-চিন্তাও শুরু করে দিয়েছে রেলওয়ে। রেল বোর্ডের আশা, ২০৩০ সালের মধ্যে ১০ গিগাওয়াট ট্র্যাকশনের শক্তি উৎপাদন সম্ভব হবে ট্রেন চালানোর জন্য।
আরোও পড়ুন : ট্রাম্পের সাথে তর্কাতর্কিতেই ঘটল বিপত্তি? এই দেশে সাহায্য বন্ধের ঘোষণা আমেরিকার
ভারতীয় রেল (Indian Railways) পরিকল্পনা করেছে, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ট্রেন (Train) পরিচালনার জন্য কেনা হবে ৩ গিগাওয়াট পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি এবং ৩ গিগাওয়াট তাপ ও পারমাণবিক শক্তি। পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলির কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অবশিষ্ট ৪ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ চুক্তির মাধ্যমে কেনার পরিকল্পনাও রয়েছে রেলের (Indian Railways)।
আরোও পড়ুন : আম্বানির সাথে “লড়াই”! এবার রিলায়েন্সের কাছ থেকে ২,৪৫,৪৮,৮৬,২৫,০০০ টাকা চাইল সরকার
রেল সূত্রে খবর, রেল কর্তৃপক্ষের তরফে বিদ্যুৎ মন্ত্রকের কাছে ২ গিগাওয়াট পারমাণবিক শক্তির আবেদন জানানো হয়েছে ইতিমধ্যেই। যৌথ উদ্যোগে বিদ্যুৎ কেনার যে চুক্তি রয়েছে সেখান থেকে সংগ্রহ করা হবে আরও ২ গিগাওয়াট তাপবিদ্যুত। পাশাপাশি জলবিদ্যুতের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে ১.৫ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ। রেল জানিয়েছে, ব্রডগেজ রুটে ১০০% বিদ্যুতায়নের কাজ সম্পন্ন হবে চলতি আর্থিক বছরের মধ্যেই।
এক রেল কর্তার কথায়, “২০২৫-২৬ সাল থেকে প্রায় ৯৫ শতাংশ ট্রেন বিদ্যুতে চলবে। রেলওয়ের সরাসরি কার্বন নির্গমন প্রতি বছর ১.৩৭ মিলিয়ন টনে নেমে আসবে।” বর্তমানে ভারতের ৯০ শতাংশ ট্রেনই বিদ্যুৎ চালিত। মাত্র ১০ শতাংশ ট্রেন চলে ডিজেলে। ভারতীয় রেলে ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতায়নের ফলে গত কয়েক বছরে ব্যাপকভাবে ট্রেন চালানোর খরচ হ্রাস পেয়েছে রেল কর্তৃপক্ষের।