ভারতের প্রথম ভার্টিক্যাল লিফট রেলব্রিজের কাজ এবার প্রায় শেষের পথে! চমকে দেবে এটির বিশেষত্ব

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারতের প্রথম ভার্টিক্যাল লিফট রেলব্রিজের (India’s First Vertical Lift Railway Sea Bridge) কাজ দ্রুত শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে রেল। এদিকে, ইতিমধ্যেই ভারতীয় রেলমন্ত্রক (Ministry of Railways) সম্প্রতি ওই সেতুর কিছু দুর্দান্ত ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) শেয়ার করেছে। যেগুলি ইতিমধ্যেই ভাইরাল হতে শুরু করেছে নেটমাধ্যমে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ওই সেতুটির নাম হল পামবান সেতু (Pamban Bridge)। যা ভারতের মূল ভূখণ্ডকে রামেশ্বরম দ্বীপের সাথে সংযুক্ত করেছে।

এদিকে, সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ওই সেতুর কাজ ৮১ শতাংশ শেষ হয়েছে। এমতাবস্থায়, সেতুটির কাজ শেষ হওয়ার পরে ওই রুটে যানবাহনের গতি বৃদ্ধির পাশাপাশি, যাতায়াত আরও সহজ হবে। সর্বোপরি, এই সেতুটি জাহাজ এবং স্টিমারগুলির চলাচলে কোনো বাধা প্রদান করবে না।

পাশাপাশি, টুইটারে এই সেতু নির্মাণের কাজের প্রসঙ্গটি শেয়ার করে রেলমন্ত্রক জানিয়েছে যে, ভারতের প্রথম সামুদ্রিক ভার্টিক্যাল লিফট রেলব্রিজ অর্থাৎ রামেশ্বরম দ্বীপের সাথে সংযোগস্থাপনকারী পামবান সেতুর কাজ প্রায় ৮১ শতাংশ শেষ হয়েছে। ৩৩৩ টি পাইল সম্পন্ন হওয়ার পাশাপাশি ১০১ টি পাইল ক্যাপ এবং সাব স্ট্রাকচারের কাজও শেষ হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। এর সাথে, ৯৯ টি গার্ডারের মধ্যে ইতিমধ্যেই ৭৬ টি চালু হয়েছে।

এমতাবস্থায়, অনুমান করা হচ্ছে যে, আগামী বছরের মার্চ মাস নাগাদ নতুন পামবান সেতুটি চালু হবে। তবে কবে নাগাদ সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হবে এই প্রসঙ্গে এখনও কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য যে, ১৯১৪ সালে ২৪ ফেব্রুয়ারি এই সেতুর উদ্বোধন হয়েছিল। পাশাপাশি, এটাই ছিল ভারতের প্রথম সমুদ্রের উপর রেল সেতু। এদিকে, সমুদ্রের নোনা জল ও প্রবল হাওয়ার কারণে সেখানে সেতু তৈরির ঘটনাটি ছিল বেশ চ্যালেঞ্জের।

এমতাবস্থায়, নতুন সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা। পাশাপাশি, সেতুটির দৈর্ঘ্য হবে ২ কিলোমিটারেরও বেশি। এছাড়াও, ব্রিজটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১২.৫ মিটার উপরে রয়েছে। সর্বোপরি, যাত্রীবাহী জাহাজ যাওয়ার সময় এই ব্রিজ খাড়াভাবে দু’দিকে উঠে যাবে। এর ফলে জাহাজ চলাচলে কোনোরকম অসুবিধে হবে না। এমনকি, দু’টি জাহাজ একইসাথে এই সেতুকে অতিক্রম করতে পারবে বলেও জানা গিয়েছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর