বাংলাহান্ট ডেস্ক : বন্দে ভারত এক্সপ্রেস প্রথম শ্রেণীর ট্রেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের বন্দে ভারতে মিলছে না ওয়াইফাই এর সুবিধা। অভিযোগ এখানেই শেষ নয়। যাত্রীদের অভিযোগ আরও দীর্ঘ। যাত্রীরা জানিয়েছেন,জলের অভাব রয়েছে শৌচাগারে, দুই কামরার মধ্যবর্তী দরজা খুলছে না ঠিকঠাক, যথা সময়ে যাত্রীরা পাচ্ছেন না চা,প্রাতরাশ। ট্রেন পরিষেবা শুরু হওয়ার কিছুক্ষনের মধ্যেই এইরকমই ভুরিভুরি অভিযোগে অভিযুক্ত হল ভারতের স্বপ্নের এই সেমি হাই স্পিড ট্রেন। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস নিয়ে যাত্রীদের অভিজ্ঞতা মিশ্র প্রকৃতির।
অনেকেই বলেছেন ট্রেনটি যে সময়ানুবর্তিতা দেখিয়েছে তা প্রশংসাযোগ্য। তবে অনেক যাত্রীর অভিযোগ, চা কিংবা খাবার পৌঁছে দেওয়ার মত ন্যূনতম পরিষেবাও বন্দে ভারত দিতে পারেনি। তাই আধুনিক ভারতের এই স্বপ্নের ট্রেনকে ঘিরে একটা “কিন্তু কিন্তু” ভাব প্রথম থেকেই রয়ে গেল। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস রবিবার হাওড়া স্টেশন থেকে ছাড়ে ভোর পাঁচটা পঞ্চাশ মিনিট। রওনা হওয়ার দু ঘন্টা আগেই ট্রেনটি স্টেশনের ১১ নম্বর প্লাটফর্মে এসে অপেক্ষা করছিল। এদিন যাত্রীদের মধ্যে এই ট্রেন নিয়ে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। রেলের যন্ত্রাংশ উৎপাদন সংস্থায় দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত মুকুলেশ দেবনাথ।
তিনি বলেছেন, এই ট্রেনের প্রযুক্তি ও সফর অভিজ্ঞতা প্রশ্নাতীত। ঘন কুয়াশা থাকলেও বোলপুর স্টেশনে সময় মত সকাল সাতটা চল্লিশ মিনিটে পৌঁছায় বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। প্রায় ২৫ মিনিট আগে পৌঁছায় মালদহে। সেখানে বাকি সময়টুকু অপেক্ষা করে নির্ধারিত সময় পৌঁছে যায় নিউ জলপাইগুড়িতে। সামান্য দুই মিনিট লেট হলেও যাত্রীরা সেটিকে “লেট” আখ্যা দিতে রাজি নয়। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ফেরার সময় বন্দে ভারত এক্সপ্রেস নির্ধারিত সময়ের ১৩ মিনিট আগে হাওড়ায় পৌঁছায়। বন্দে ভারত হাওড়া পৌঁছায় রাত দশটা বাইশ মিনিট।
তবে এই ট্রেনের কামরার ভেতরকার বিভিন্ন সেন্সর নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন যাত্রীরা। তাদের অভিযোগ,অনেক ক্ষেত্রেই ঠিক মতো খোলা যাচ্ছিল না দুই কামরার মাঝখানের কাচের দরজা। অনেক যাত্রী অভিযোগ করেছেন এক্সিকিউটিভ ক্লাসের কয়েকটি শৌচালয়ে ফুরিয়ে গিয়েছিল জল। বেশ কিছু যাত্রীর অভিযোগ সেন্সর নিয়ন্ত্রিত সোপ ডিসপেন্সার ঠিকমতো কাজ করছিল না। এছাড়াও এদিন বন্দে ভারতে খাবার নিয়ে অভিযোগ করেন অনেক যাত্রী। তাদের অভিযোগ, পর্যাপ্ত কর্মী না থাকায় অনেক যাত্রীর কাছে চা, কফি, প্রাতরাশ পৌঁছতে দেরি হয়েছে। এছাড়া এদিন অনেক উটকো মানুষ ট্রেনে উঠে পড়ার চেষ্টা করেন। এরপরে নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন এই ট্রেনের যাত্রীরা।