মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কবলে পুরষোত্তম এক্সপ্রেস, আচমকা ব্রেক কষতেই প্রবল ঝাঁকুনিতে মৃত ২

বাংলা হান্ট ডেস্ক : একটুর জন্য বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচল পুরী-নয়া দিল্লি পুরুষোত্তম এক্সপ্রেস (Purushottam Express)। ট্রেন চালক সঠিক সময় ব্রেক কষায় বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় ভারতীয় রেল (Indian Railways)। তবে আচমকা ব্রেক কষার কারণে প্রবল ঝাঁকুনিতে দুই যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি, তবে মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের কোডারমা জেলায়।

রেল সূত্রে জানা যাচ্ছে, ১৩০ কিমি প্রতি ঘন্টা গতিতে চলছিল পুরী-নতুন দিল্লি পুরুষোত্তম এক্সপ্রেস। এরমধ্যে আচমকাই ওভারহেডের তারটি ছিঁড়ে পড়ে। চালক অবস্থা বেগতিক দেখে সঙ্গে সঙ্গে জরুরি ব্রেক কষেন। এর জেরে দুই যাত্রী মারা গেলেও বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে গোটা ট্রেন।

উল্লেখ্য, ঘটনাটি ঘটেছে দুপুর ১২.০৫ মিনিটে গোমোহ ও কোডারমা রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে পারসাবাদের কাছে। মিডিয়া রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, আচমকা ব্রেক কষার কারণে রেলের কামরার মধ্যে প্রবল ঝাঁকুনি সৃষ্টি হয়। কামরার ভেতরের সবকিছু এদিক ওদিক ছিটকে পড়ে। আর তারমধ্যেই গুরুতর চোট পান দুই যাত্রী। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাদের।

আরও পড়ুন : পানিহাটিতে হাড়হিম করা ঘটনা, বিষ্ফোরণে উড়ল যুবকের হাত! তীব্রতা দেখে চাঞ্চল্য এলাকায়

অন্যদিকে দুর্ঘটনার খবর মিলতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছান ধানবাদ রেলওয়ে ডিভিশনের ম্যানেজার কেকে সিনহাও। দুর্ঘটনার পর প্রায় চার ঘন্টা বন্ধ রাখা হয় কোডারমা-গোমোহ সেকশনে ট্রেন চলাচল। পরে, দুর্ঘটনাস্থল থেকে একটি ডিজেল ইঞ্জিন পাঠিয়ে ট্রেনটিকে গোমোহতে আনা হয় এবং বৈদ্যুতিক ইঞ্জিন যোগ করা হয়। তারপরেই দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ট্রেনটি।

আরও পড়ুন : ‘অনুরাগের ছোঁয়া-জগদ্ধাত্রী’কে টেক্কা দিয়ে সেরার সেরা ‘কার কাছে কই মনের কথা’! মানালির গলায় ভরপুর উচ্ছ্বাস

ধানবাদ রেলওয়ে ডিভিশনের সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্স ম্যানেজার অমেরেশ কুমার এই প্রসঙ্গে জানান, “আচমকা বৈদ্যুতিক সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, ট্রেন থামাতে জরুরি ব্রেক প্রয়োগ করা হয়েছিল, এবং ধাক্কা লেগে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।” এর আগেও গত ২৯ অক্টোবর, অন্ধ্র প্রদেশের ভিজিয়ানগরম জেলায় দুটি ট্রেনের সংঘর্ষে ১৩ জন নিহত হয়‌। আহতের সংখ্যা ছিল প্রায় ৩০ এরও বেশি।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর