বাংলাহান্ট ডেস্ক : গত সোমবার কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় আহত ও নিহত হয়েছেন বহু মানুষ। আগরতলা থেকে শিয়ালদাগামী একটি কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে ধাক্কা মারে একটি মালগাড়ি (Goods Train)। এই সংঘর্ষের ঘটনায় আহত ও নিহত হয়েছেন বহু যাত্রী। মৃতের সংখ্যা ১৫ ছাড়িয়ে গেছে। আহত অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
একের পর এক ট্রেন দুর্ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই ভীত ও সন্ত্রস্ত সাধারণ মানুষ। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় বিভিন্ন দূরপাল্লার ট্রেনগুলির সংঘর্ষ হয় মালগাড়ির সাথে। সেক্ষেত্রে রেলের নিয়ম অনুযায়ী সর্বোচ্চ কত গতিবেগ থাকতে পারে একটি মালগাড়ির? সেই বিষয়ে অনেকেই জানেন না। গত বছর ভয়াবহ করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা প্রশ্ন চিহ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছিল রেলকে।
আরোও পড়ুন : আর ১৪% নয়, এবার ডবল DA পাচ্ছেন রাজ্যের এই সকল সরকারি কর্মীরা, জারি বিজ্ঞপ্তি
সেই দুর্ঘটনার এক বছর কাটতে না কাটতেই বাংলার বুকে ঘটে গেল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা। ভারতের পরিবহণ ক্ষেত্রে ভারতীয় রেলের অবদান অনস্বীকার্য। আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ যাতায়াতের জন্য বেছে নেন রেলকে। তবে সেই রেল ব্যবস্থায় যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে বারবার উঠছে প্রশ্ন।
আরোও পড়ুন : বড় সুখবর চাকরি প্রার্থীদের জন্য! পাঁচ হাজারেরও বেশি পদে হতে চলেছে ব্যাঙ্কে নিয়োগ
কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসটিকে যে মালগাড়িটি ধাক্কা দিয়েছে তার গতি কত ছিল তা নিয়ে অনেকের মনে উঠছে প্রশ্ন। যদিও রেলের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে এখনো কিছু জানানো হয়নি। তবে ভারতীয় রেলের (Indian Railways) নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেকটি মালগাড়ি নির্দিষ্ট গতিবেগে চলাচল করতে পারে।
ভারতীয় রেল একটি মালগাড়িকে ঘন্টায় ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার বেগে চলাচল করার অনুমতি দেয়। ইস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডোরে মতো কিছু ক্ষেত্রে মালগাড়ির গতিবেগ ঘন্টায় ৬০ কিলোমিটার করার অনুমতি রয়েছে। যদি চালক এই নির্দিষ্ট নিয়মের বাইরে মালগাড়ির গতি বাড়িয়ে দেন বা তার জন্য কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, তাহলে সেটি অবশ্যই শাস্তিযোগ্য অপরাধ।