বাংলা হান্ট ডেস্ক : ধীরে ধীরে বেড়ে চলেছে ভারতীয় রেলের পরিষেবা (Indian Railways) আরো আধুনিক এবং আরো উন্নত হচ্ছে রেলের বহর। সেইসাথে যাত্রী সংখ্যাও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। একদিকে যেমন সস্তায় হয় যাতায়াত ঠিক তেমনি বজায় থাকে স্বাচ্ছন্দ্য। আর সে কারণেই রেল পরিষেবাকে বলা হয়ে থাকে ভারতের (India) লাইফলাইন। আর তাই যাত্রীদের সুবিধার্থে রেল এবার নয়া পদক্ষেপ নিয়েছে।
এমনিতে প্রায় সব ট্রেনেই প্যান্ট্রি কারের ব্যবস্থা আছে। যারা দূরপাল্লার ট্রেনে সফর করেন তারা ট্রেনেই খাবার পান। তবে এই ব্যবস্থা রয়েছে শুধুমাত্র এসি এবং স্লিপার কোচের যাত্রীদের জন্য। সাধারণত জেনারেল কোচের মানুষদের খাবারের জন্য ভালোই হয়রান হতে হয়। তবে এবার থেকে রেলের জেনারেল কোচের জন্য ‘ইকোনমি মিল’ (Economy Meal) শুরু করেছে রেল।
ইতিমধ্যেই, নর্থ ওয়েস্ট রেলওয়ে উদয়পুর, আজমির এবং আবু রোড স্টেশনে এই ‘ইকোনমি মিল’ পরিষেবা শুরু করেছে। যারফলে নামমাত্র মূল্যে যাত্রীরা পেয়ে যাচ্ছেন সুস্বাদু খাবার। এই ৩ টি স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে যেখানে জেনারেল কোচ থামে, তার ঠিক সামনেই রয়েছে এই ‘ইকোনমি কাউন্টার’ (Economy Counter)। এই বগিগুলো থামে উদয়পুর রেলওয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম নম্বর ১-এর রানা প্রতাপ নগরের শুরুতে ও হিম্মতনগরের কাছে।
এমতাবস্থায় সকলের মনেই প্রশ্ন আসবে কত টাকায় পাওয়া যাচ্ছে এই ‘ইকোনমি মিল’? এবং ঠিক কী কী থাকছে এতে? জানিয়ে দিই, মাত্র ২০ টাকার বিনিময়ে পেয়ে যাবেন এই থালি। এতে থাকবে ৭ টি পুরি, আলু সবজি ও আচার। পরবর্তী সময়ে স্ন্যাকস/কম্বো খাবার (৩৫০গ্রাম) পাওয়া যাবে। সেক্ষেত্রে দাম হবে ৫০ টাকা। এছাড়াও রয়েছে ২০০ মিলি প্যাকেজ করা জল, যার দাম রাখা হয়েছে ৩ টাকা।
আরও খবর মিলেছে, রেল যে কম্বো থালি আনার কথা ভাবছে তাতে থাকবে রাজমা-চাল, খিচুড়ি, ছোলা-বাটুরে, দোসা ইত্যাদি। দূরপাল্লার ট্রেনে জেনারেল কামরার যাত্রীদের যাতায়াতের সমস্যার কথা বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। অনেক সময়ই দেখা যায়, ট্রেন ছেড়ে দেওয়ার টাইম হয়ে যায় বলে যাত্রীরা প্লাটফর্ম থেকে খাবার কিনতে পারেনা। ফলে দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকতে হয় তাদের।
আবার অনেক সময় যাত্রীরা খাবার কিনতে গিয়ে তাড়াহুড়ো করেন, যাক জেরে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভবনা থাকে। যাত্রীদের দূর্ভোগ দূর করতে গত মাসেই রেল বোর্ডের তরফে সমস্ত রেলওয়ে ম্যানেজারদের কাছে একটি নির্দেশ পাঠানো হয়েছিল। যাতে বলা ছিল, স্টেশনের যেখানে জেনারেল কামরা দাঁড়াবে তার কাছাকাছি কম দামে ভালো মানের খাবার, পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে। সেই মতোই চালু হল এই ব্যবস্থা। এইমুহুর্তে যদিও কেবল এই তিনটি স্টেশনেই খাবার পাওয়া যাচ্ছে, তবে ভবিষ্যতে সারা দেশেই ছড়াবে এই পরিষেবা।