এবার থেকে ট্রেনে করেই যেতে পারবেন মিজোরাম, সিকিম! এই দিনের মধ্যেই সম্পূর্ণ হবে কাজ

বাংলা হান্ট ডেস্ক: যাত্রীদের সুবিধার্থে একের পর এক বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে ভারতীয় রেল (Indian Railways)। এমতাবস্থায়, এবার মায়ানমার, বাংলাদেশ, ভুটান, নেপালের পাশাপাশি দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির রাজধানীকে রেল পরিষেবার সাথে সংযুক্ত করার জন্য ক্রমাগত কাজ করা হচ্ছে রেলের তরফে।

এই প্রসঙ্গে নর্থ ইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের (North East Frontier Railway) জেনারেল ম্যানেজার অংশুল গুপ্তা জানিয়েছেন যে, ওই এলাকায় রেল যোগাযোগ বাড়াতে রীতিমতো যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে। এমতাবস্থায়, আগামী ২-৩ বছরের মধ্যে এই কাজ শেষ হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এদিকে তিনি বলেন, যেকোনো অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য রেল যোগাযোগ একটি বড় শক্তি।

পাশাপাশি, অংশুল গুপ্তা আরও জানিয়েছেন যে, উত্তর-পূর্বে রেলের সম্প্রসারণের সমস্ত কাজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের নির্দেশ অনুযায়ী করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ত্রিপুরা ও অরুণাচল প্রদেশের রাজধানীগুলির সঙ্গে রেল যোগাযোগ রয়েছে। এমতাবস্থায়, বাকি তিনটি রাজ্যের রাজধানীগুলিকে রেল যোগাযোগের সাথে সংযুক্ত করার প্রকল্পগুলির কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। অনুমান অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই সিকিমের রংপো পর্যন্ত রেল ট্র্যাক নির্মাণের কাজ শেষ হতে পারে। উল্লেখ্য যে, মিজোরামের সাইরাং রেললাইন প্রকল্পটিও ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে।

এদিকে অংশুল গুপ্তার মতে, সংশ্লিষ্ট রেল বিভাগ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে মণিপুর রাজ্যের রাজধানী পর্যন্ত রেলপথ সংযুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি, নাগাল্যান্ডের কোহিমাকে সংযুক্ত করার প্রকল্পেও জোরকদমে কাজ চলছে। তিনি জানিয়েছেন যে, শুধুমাত্র মেঘালয়ের শিলং বাদে সমস্ত উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির রাজধানীতে রেল যোগাযোগের সুবিধা থাকবে। কারণ সেখানে জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত বিষয়ে নিয়ে এখনও কিছু কাজ বাকি আছে।

rail 1 2

এমতাবস্থায়, আগামী ২-৩ বছরের মধ্যে এই কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, দেশের অন্যান্য অংশের তুলনায় উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। মূলত, সেখানকার ভৌগোলিক অবস্থার পাশাপাশি অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকটার কারণেই বিষয়টি সঠিকভাবে এগোতে পারেনি।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর