বাংলাহান্ট ডেস্ক: বালুরঘাটবাসীর জন্য সুখবর। গোটা দক্ষিণ দিনাজপুরের রেলপ্রকল্প নিয়ে বড় খবর শোনাল কেন্দ্র। এপ্রিল মাস থেকেই সেখানে ইলেকট্রিক ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। এই প্রকল্পটি মার্চ মাসে উদ্বোধন হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। তাই এ বার উদ্বোধনের নতুন তারিখ ঘোষণা করেছে রেল (Indian Railways)। জেলার বাসিন্দাদের জন্য এটি নিঃসন্দেহে খুবই খুশির একটি খবর। ইতিমধ্যেই জোরকদমে শুরু হয়েছে কাজ।
দেশের প্রতিটি কোনাতেই রেলপথের বৈদ্যুতিকরণ করা হচ্ছে। সেই প্রকল্পের অধীনেই বালুরঘাটের রেলপথের বৈদ্যুতিকরণ করা হচ্ছে। রেলের দাবি, বৈদ্যুতিকরণ করলে ট্রেনের গতি বাড়ানো সম্ভব হবে। ফলে সময়সূচী ধরে ট্রেন চালাতে সুবিধা হবে তাদের। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা যাওয়ার সময়েও কমে যাবে অনেকটাই। এছাড়াও বালুরঘাটবাসীর অনেকদিনের স্বপ্ন ছিল রেলপথের বৈদ্যুতিকরণ। অবশেষে সেই স্বপ্ন এ বার সত্যি হতে চলেছে।
রবিবার বালুরঘাট সহ গোটা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন রেলপ্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখেছেন উত্তর পূর্ব রেলের কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম শুভেন্দুকুমার চৌধুরী। তিনিই এ দিন সংবাদমাধ্যমকে জানান যে মার্চে কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা হলেও তা হয়নি। কিন্তু এপ্রিলে এই কাজ শেষ হয়ে ইলেকট্রিক ট্রেন চালু হয়ে যেতে পারে। কাজে দেরি নিয়ে এদিন তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এই প্রকল্পের কাজ শেষ না হতেই যদি বর্ষা আসে, তাহলে সমস্যা বাড়বে। কারণ সেক্ষেত্রে নতুন করে কাজ করা যাবে না।
তাই শুভেন্দুবাবু এ দিন রেলের কর্মীদের দ্রুততার সঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, বালুরঘাটে ইলেকট্রিক ট্রেন চালু হলে আগের তুলনায় অনেকটাই বাড়বে গতিবেগ। তাছাড়া বালুরঘাটবাসীর দীর্ঘদিনের দাবিও পূরণ হবে। উল্লেখ্য, বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সাংসদীয় ক্ষেত্র হল বালুরঘাট। উত্তরবঙ্গের রেল প্রকল্পগুলির কাজ যাতে দ্রুততার সঙ্গে শেষ হয়, সে ব্যাপারেও উদ্যোগী হয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে বালুরঘাট-হিলি রেল প্রকল্পের বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হচ্ছে।
বালুরঘাট থেকে হিলির রেল প্রকল্প এখনও খাতায় কলমেই রয়ে গিয়েছে। বাস্তবে তা কবে হবে তার দিকে তীর্থের কাকের মতো তাঁকিয়ে বসে রয়েছেন সাধারণ মানুষ। এত দেরির কারণ কী, তা নিয়েও তাঁদের মনে প্রশ্ন উঠছে। সরকারি সূত্রে খবর, এই প্রকল্পকে বাস্তব রূপ দিতে জমি অধিগ্রহণের কাজে কিছুটা সময় লাগছে। এই কাজটি সম্পন্ন হলে বাকি কাজগুলি তাড়াতাড়িই হয়ে যাবে। জেলা প্রশাসনের তরফেও রেলকে জমি দেওয়ায় সব রকম সহযোগিতা করা হচ্ছে।