বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইতিমধ্যেই শুরু হতে চলেছে উৎসবের মরশুম। দীপাবলি থেকে শুরু করে ছটপুজো আর বেশি বাকি নেই। প্রতিবছরই উৎসবের এই মরশুমে ট্রেনে (Indian Railways) বিপুল ভিড় পরিলক্ষিত হয়। শুধু তাই নয়, সিট পাওয়ার জন্য ভিড় করে থাকেন হাজার হাজার জন। তবে, এবার উৎসবের মরশুমের ঠিক আগে, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এমন একটি সুখবর ঘোষণা করেছেন, যেটি লক্ষ লক্ষ যাত্রীদের অবাক করেছে। বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপিত করছি।
দীপাবলি এবং ছটপুজোর জন্য বড় পদক্ষেপ রেলের (Indian Railways):
মূলত, রেলমন্ত্রী ছটপুজোএবং দীপাবলি উপলক্ষ্যে ট্রেনে (Indian Railways) যাত্রীদের বিশাল ভিড়কে নিয়ন্ত্রণ করতে এবং তাঁদের সুষ্ঠুভাবে যাতায়াতের ক্ষেত্রে দেশজুড়ে অতিরিক্ত কোচ এবং স্পেশাল ট্রেন চালানোর ঘোষণা করেছেন। গত শুক্রবার এই বিষয়ে বৈষ্ণব বলেন, “এই উৎসবের মরশুমে ১০৮ টি ট্রেনে জেনারেল কোচ বাড়ানো হয়েছে। ছটপুজো এবং দীপাবলিতে স্পেশাল ট্রেনের জন্য ১২,৫০০ টি কোচ মঞ্জুর করা হয়েছে।” এমতাবস্থায়, ২০২৪-২৫ সালে এখনও পর্যন্ত মোট ৫,৯৭৫ টি ট্রেন নোটিফাই করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব আরও বলেছেন, এর ফলে পুজোর ভিড়ের সময় ১ কোটিরও বেশি যাত্রীর সফরে সুবিধা মিলবে। উল্লেখ্য যে, ২০২৩-২৪ সালে উৎসবের মরশুমে মোট ৪,৪২৯ টি স্পেশাল ট্রেন চালানো হয়েছিল। এর আগে গত ২৪ সেপ্টেম্বর, অশ্বিনী বৈষ্ণব রাজস্থানে কবচ ৪.০ পরিদর্শন করেছিলেন এবং জানান যে কবচ ৪.০ ভারতে প্রথমবারের মতো সওয়াই মাধোপুর থেকে শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, আগামী বছরগুলিতে ১০ হাজার ইঞ্জিনকে কবচ দিয়ে আচ্ছাদিত করা হবে।
আরও পড়ুন: ফের ফিরল পন্থের স্মৃতি! ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় আহত ভারতের তারকা ক্রিকেটার, খেলতে পারবেন না ম্যাচ
বৈষ্ণব সাংবাদিকদের বলেন, “কবচ ৪.০ ভারতে প্রথমবারের মতো সওয়াই মাধোপুর থেকে শুরু হয়েছে… ওই এলাকায় কবচ স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। এটি মাত্র শুরু। আগামী বছরগুলিতে ১০ হাজার ইঞ্জিন সজ্জিত করা হবে। এবং ৯ হাজার কিলোমিটারে কবচের কাজ করা হবে।” জানিয়ে রাখি যে, কবচ হল একটি দেশীয়ভাবে তৈরি স্বয়ংক্রিয় ট্রেন সুরক্ষা (এটিপি) সিস্টেম। এটি একই ট্র্যাকে দু’টি ট্রেনের সংঘর্ষ এড়াতে সাহায্য করতে পারে।
উল্লেখ্য যে, কবচ প্রযুক্তি লোকো পাইলট ব্রেক প্রয়োগ করতে ব্যর্থ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্রেক প্রয়োগ করে একটি গতিসীমার মধ্যে ট্রেন (Indian Railways) চালাতে সহায়তা করে এবং এটি দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় ট্রেনকে নিরাপদে চলতে সহায়তা করে। এদিকে, এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর, রেলমন্ত্রী বৈষ্ণব দিল্লির হযরত নিজামুদ্দিন রেল স্টেশনে ভারত-নেপাল যাত্রার জন্য ভারত গৌরব ট্রেনের উদ্বোধন করেছিলেন এবং জানান যে, এর মাধ্যমে পর্যটকরা ভারত ও নেপালের মধ্যে ভাগ করা সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে সক্ষম হবেন।