বাংলাহান্ট ডেস্ক : প্রত্যেক ভারতবাসীর কাছে ভারতীয় রেলের (Indian Railways) গুরুত্ব ঠিক কতটা তা আর নতুন করে বলার নেই। স্থানীয় ভাবে স্কুল-কলেজ-অফিস যাতায়াত হোক কিংবা দূরে কোথাও, আমাদের প্রত্যেকের কাছে গন্তব্যে পৌঁছানোর প্রথম পছন্দ ভারতীয় রেল (Indian Railways)। বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্ক ভারতীয় রেল (Indian Railways) প্রতিদিন প্রায় ২ কোটি মানুষকে পোঁছে দেয় গন্তব্যে।
ভারতীয় রেলের (Indian Railways) বিশেষ সুবিধা
ভারতীয় রেলে (Indian Railways) যাত্রা করার জন্য রয়েছে বিভিন্ন ধরনের টিকিট সংরক্ষণ সুবিধা। যেগুলির মধ্যে রয়েছে রিজার্ভেশন, জেনারেল, তৎকাল, কারেন্ট টিকিট বুকিং। এই টিকিটগুলির বৈধতা সাধারণত ১দিনের হয়ে থাকে। ট্রেনটি যতক্ষণ না পর্যন্ত গন্তব্যে পৌঁছায় ততক্ষণ বৈধতা থাকে রিজার্ভেশন টিকিটের। তবে অনেকেই হয়ত জানেন না ভারতীয় রেলের (Indian Railways) এমন এক ধরনের টিকিট রয়েছে যার বৈধতা ৫৬ দিন!
আরোও পড়ুন : গল্প হলেও সত্যি! মাত্র ১৪৩ টাকায় দার্জিলিং সফর! অবিশ্বাস্য এই প্ল্যান কিভাবে হবে জানেন ?
আপনারা জানলে হয়ত অবাক হবেন ভারতীয় রেলের (Indian Railways) এই টিকিটে সফর করা যেতে পারে একটানা ৫৬ দিন! একবার এই টিকিট কাটলে বারবার টিকিট কাটার প্রয়োজন হয় না। বিভিন্ন রুটে কোনও রকম সমস্যা ছাড়াই ৫৬ দিন পর্যন্ত যাত্রা করা যায়। তীর্থস্থানে যাত্রা করার জন্য আপনারা ভারতীয় রেলের (Indian Railways) সার্কুলার টিকিট কাটতে পারেন। এই সার্কুলার টিকিটের বৈধতা থাকে ৫৬ দিন।
আরোও পড়ুন : কী ভাবছেন, আর নেবেন না লক্ষ্মীর ভাণ্ডার? তাহলে পোর্টাল থেকে ডিলিট করতে হবে নাম! কিন্তু কীভাবে?
এই সার্কুলার টিকিট সব ধরনের শ্রেণির জন্যই কাটা যাবে। তবে সর্বাধিক ৮টি স্টপেজ হতে হবে টিকিটে। আটটি আলাদা স্টেশনে আপনারা যাত্রা করতে পারেন সার্কুলার টিকিটের মাধ্যমে। এই টিকিটের বৈধতা থাকবে ৫৬ দিন। তবে এখানে জানিয়ে রাখা দরকার কাউন্টারে বা আইআরসিটিসির (Indian Railways Catering and Tourism Corporation) ওয়েবসাইট থেকে আপনার সার্কুলার টিকিট কাটতে পারবেন না। সার্কুলার টিকিটের জন্য আবেদন করতে হবে রেলের জোনাল অফিসে। আবেদন পত্রে তীর্থস্থানের বিবরণ দিতে হবে।
তারপর রেল কর্তৃপক্ষ সেই আবেদন পত্র খতিয়ে দেখে আপনার জন্য সার্কুলার টিকিট জারি করবে। সার্কুলার টিকিট কাটার সব থেকে বড় সুবিধা হল এতে সময় ও অর্থ দুই-ই সাশ্রয় হয়। যদি আলাদা আলাদা স্টেশনের জন্য টিকিট কাটেন তাহলে খরচ অনেকটাই বেশি হয়ে দাঁড়ায়। সেই অনুযায়ী সার্কুলার টিকিট অনেকটাই সস্তা হয়ে থাকে। সার্কুলার টিকিটের দাম নির্ধারিত হয়ে থাকে টেলিস্কপিক দরে। যাত্রীরা যে জায়গায় যাওয়ার কথা ভাবছেন সেই অনুযায়ী টিকিটের দাম নির্ধারিত হয়।