বাংলাহান্ট ডেস্ক: চিনের সঙ্গে সঙ্গে সারা বিশ্বেই ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক। এমনকি ভারতেও এই মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন মানুষ। চিনে এখনও পর্যন্ত ৩৬০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে। আড়াই লাখেরও বেশি আক্রান্ত এই ভাইরাসে। মাস্ক ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরই হচ্ছেন না মানুষ।
এরই মধ্যে জানা যায়, থাইল্যান্ডের একদল চিকিৎসক দাবি করেন তাঁরা করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কার করেছেন। এরপর জানা গেল
একজন ভারতীয় বিজ্ঞানী আবিষ্কার করেছেন করোনার টীকা। তিনি অস্ট্রেলিয়ায় প্রবাসী ভারতীয়। তাঁর নেতৃত্বেই বৈজ্ঞানিকের দল আবিষ্কার করেছেন এই টীকা।
অস্ট্রেলিয়ার কমনওয়েল্থ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ অরগানাইজেশন (CSIRO)এর কড়া নিরাপত্তা সম্পন্ন ল্যাবে তৈরি হচ্ছে এই প্রতিষেধক। বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন এই প্রতিষেধক দিয়ে খুব দ্রুত আটকানো সম্ভব। এই বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে প্রফেসর এস এস ওয়াসন জানান, খুব তাড়াতাড়িই তাঁরা প্রতিষেধক বানাতে সক্ষম হবেন।
CSIROর ডেঞ্জারাস প্যাথোজেন্স টিমটিকে চালনা করছেন এস এস ওয়াসন। প্রতিষেধক তৈরির বিষয়ে অগ্রগতির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “প্রি ক্লিনিকাল স্টাডিজের জন্য প্রয়োজনীয় প্রতিষেধক বানানো ছাড়াও এটা ওষুধের প্রোডাকশনের গতি বৃদ্ধি করবে।” তিনি আরও জানান, ভাইরাস খুব দ্রুত প্রতিরোধ করা সম্ভব। প্রসঙ্গত, এর আগে থাইল্যান্ডের চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, HIV ও ফ্লুয়ের প্রতিষেধক একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় মিশিয়ে করোনা ভাইরাসের ওষুধ আবিষ্কার করেছেন তাঁরা। তবে এই ওষুধ প্রয়োগে যে একেবারেই সেরে যাচ্ছে রোগ তা কিন্তু নয়। চিকিৎসকরা দাবি করছেন এই প্রতিষেধকে অনেকটাই সুস্থ হচ্ছেন করোনা আক্রান্তরা।