করোনা ভাইরাসের টিকা আবিষ্কার করলো ভারতীয় গবেষক,প্রশংসা বিশ্ব জুড়ে

এখন দুনিয়া জুড়ে এক ত্রাসের আবহ সৃষ্টি করেছে চিন থেকে ছড়িয়ে পড়া মারন ভাইরাস করোনা। চিনে এই ভাইরাসের আক্রমনে ইতিমধ্যেই ৬০০ জনের মৃত্যু হয়ে গেছে। আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে। এই মারনরোগের এতদিন কোন টিকা ছিল না। তবে সম্প্রতি এই ভাইরাসের টিকা আবিষ্কারের পথে বেশ বড় অগ্রগতি অর্জন করলেন অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসকারী ভারতীয় ভাইরোলজিস্‌ট এসএস ভাসন। এর পরই মানুষের দেহ থেকে এই ভাইরাসটিকে আলাদা করতে সক্ষম হয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

অস্ট্রেলিয়ার কমনওয়েলথ্‌ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ অর্গানাইজেশনে (CSIRO) করোনাভাইরাস তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের নেতৃত্বে রয়েছেন ভারতীয় বৈজ্ঞানিক তথা ভাইরোলজিস্‌ট এসএস ভাসন। গতসপ্তাহে মানবদেহ থেকে সেটিকে আলাদা করেছেন গবেষকরা। প্রি-ক্লিনিকাল পরীক্ষার জন্য ভাইরাসটির বৃদ্ধির উপরে নজর রাখা হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার গবেষণাগারের প্যাথোজেন দলের নেতৃত্বে রয়েছেন এখন এসএস ভাসন। তিনি বলেন,”দোহার্টি ইনস্টিটিউটের সতীর্থদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। মানবদেহ থেকে ভাইরাসটি আলাদা করতে পেরেছেন তারা। দ্রুত ভাইরাসের টিকা আবিষ্কারের জন্য সেটির উপরে পরীক্ষানিরীক্ষা দরকার।” জানা গিয়েছে, ১৬ সপ্তাহের মধ্যে  করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কারের লক্ষ্য নিয়েছেন কমনওয়েলথ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ অর্গানাইজেশনের বিজ্ঞানীরা।

প্রসঙ্গত, চিনে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। কারণ চিনেরই একটি সংস্থা টেনসেন্টের রিপোর্ট বলছে, নোভেল করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৪,৫৮৯ জনের। অথচ বেজিং সরকার দাবি করছে, এই সংখ্যাটা মাত্র ৬৩৪। আক্রান্তের সংখ্যার হিসেবেও বিস্তর ফারাক। টেনসেন্ট বলছে, সংক্রমিত অন্তত দেড় লক্ষ। আবার তাইওয়ানের এক সংস্থার কথায়, অনিচ্ছাকৃত ভাবে হলেও আসল মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা প্রকাশ করে ফেলেছে টেনসেন্ট। যা নিয়ে আবারও জল্পনার মুখমুখি হয়েছে চিন সরকার।


সম্পর্কিত খবর