অবিশ্বাস্য! দর্জি থেকে রাতারাতি সুপারস্টার! ‘তুম তো ঠহরে পরদেশি’ গায়ক আলতাফ রাজার খবর কী ?

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ৯০ এর দশকে বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল ‘তুম তো ঠহরে পরদেশি, সাথ ক্যায়া নিভাওগে…’ গানটি। এই গান আলতাফ রাজাকে (Altaf Raja) রাতারাতি পরিণত করেছিল সুপারস্টারে (Superstar)। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে বিক্রি হয়েছিল ৭ মিলিয়ন ক্যাসেট। একটা সময় বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করা আলতাফ রাজা হঠাৎ করেই যেন হারিয়ে গেলেন।

‘তুম তো ঠহরে পরদেশি’ গায়ক আলতাফ রাজার (Altaf Raja) জীবন

মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) নাগপুর ১৯৬৭ সালের ১৫ অক্টোবর আলতাফের জন্ম। আলতাফের বাবা-মার ইচ্ছা ছিল তাদের ছেলে পড়াশোনা করে যাতে ভালো ক্যারিয়ার বেছে নেয়। ভালো স্কুলে পড়াশোনা করানোর আশায় তার বাবা-মা তাকে নিয়ে আসেন মুম্বাই। মুম্বইয়ের বিখ্যাত অ্যান্টোনিও ডি’সুজা স্কুলেও পড়াশোনা করেছেন আলতাফ রাজা (Altaf Raja)।

আরোও পড়ুন : আরেব্বাস! এ তো পুরো ম্যাজিক! মাসে ১০০০ টাকা দিলেই ২ কোটি রিটার্ন! SIP’র হিসেবটা জাস্ট দেখুন

মুম্বাইয়ের (Mumbai) অন্যতম বড় এই স্কুলে পড়াশোনা করেও আলতাফ কোনও দিনই আপন করে নিতে পারেননি প্রথাগত পড়াশোনাকে। নবম শ্রেণীতে শিক্ষাজীবনের ইতি ঘটে আলতাফের। এরপর আলতাফের বাবা তাকে ভর্তি করিয়ে দেন দর্জির কাজের শিক্ষানবিশিতে। আলতাফের (Altaf Raja) বাবা-মা দু’জনেই ছিলেন কাওয়ালি গানের গায়ক।

আরোও পড়ুন : কনফার্ম খবর! এবার ‘স্মার্ট’ হচ্ছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ! বার্তা পাবেন ফেসবুক-ইউটিউবে, কেসটা কী?

তাই জন্ম থেকেই গান ছিল আলতাফের (Altaf Raja) রক্তে। আলতাফের বাবা-মা বিভিন্ন মঞ্চে গান করে সংসার চালাতেন। একটা সময় আলতাফও জানিয়ে দেন তিনি সংগীতকেই পেশা করবেন। তারপর শুরু হয় তার প্রশিক্ষণ। প্রথমদিকে মায়ের সাথে কাওয়ালি গান গাইতেন আলতাফ। তারপর বাবা-মার অনুপ্রেরণায় আলতাফ সংগীত জীবন শুরু করেন।

আলতাফ সেই সময় অংশগ্রহণ করেন বেশ কিছু সংগীত প্রতিযোগিতায়। তারপর ১৯৯০ সালে প্রকাশ পায় আলতাফের গানের অ্যালবাম ‘তুম তো ঠহরে পরদেশি’। এই অ্যালবামের একটি গান ‘তুম তো ঠহরে পরদেশি, সাথ ক্যায়া নিভাওগে…’ রাতারাতি আলতাফকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে নিয়ে যায়। অনেকেই দাবি করেন এই গানটির সাথে যোগ রয়েছে গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডেরও।

IMG 20240803 181826

এই গানের অ্যালবামটি রেকর্ড সংখ্যায় বিক্রি হয়েছিল। মাত্র ১৮ বছর বয়সে ক্যারিয়ার শুরু করা আলতাফ এখন আর নেই লাইমলাইটে। ২০২৩ সালে ইমরান হাশমির ‘ঘনচক্কর’ ছবিতে ছিল আলতাফের গলায় গান। জানা যায় আলতাফের খুব ইচ্ছা ছিল গজল গানের। তবে তার মা তাকে সিনেমায় গানের জন্য চেষ্টা করতে বলেন। 

বেশ কিছু ছবি ও অ্যালবামে আলতাফ গান গাইলেও ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে থাকেন বলিউড (Bollywood) থেকে। বেশ কিছু রিপোর্ট দাবি করেছে, মুম্বইয়ের (Mumbai) মোহাম্মদ আলি রোডের একটি ফ্ল্যাটে বর্তমানে থাকেন আলতাফ। বিভিন্ন ছোটখাটো অনুষ্ঠানে গান গেয়েই চলে সংসার। এছাড়াও জানা যায়, সম্প্রতি আলতাফ গলা দিয়েছেন স্প্লিটসভিলা ১৫-এর অ্যানথেমে।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর