বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা বা ইসরো (Indian Space Research Organisation) দাবি করছে চাঁদের মাটিতে যে গর্ত রয়েছে তাতে রয়েছে বরফ। এই গবেষণাটি স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার, ইসরো পরিচালনা করছে আইআইটি কানপুর, ইউনিভার্সিটি অফ সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া, জেট প্রপালশন ল্যাব এবং আইআইটি (আইএসএম) ধানবাদের গবেষকদের সাহায্যে।
ইসরো বলছে, এই গবেষণা ভবিষ্যতে চাঁদের মাটিতে বরফ সংগ্রহ করতে ও মানুষের চাঁদে অবস্থানের ক্ষেত্রে সহায়তা করবে। চাঁদে অবতরণের জন্য সঠিক অবস্থান ও সঠিক নমুনা সংগ্রহের স্থান সম্পর্কে এই গবেষণা সাহায্য করবে। এই গবেষণায় আরো বলা হয়েছে, চাঁদের দক্ষিণ মেরুর তুলনায় চাঁদের উত্তর মেরুতে জলের বরফের পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ।
আরোও পড়ুন : সন্দেশখালির ঘটনা BJP-র সাজানো? ‘স্টিং অপারেশনে’র ভিডিও নিয়ে মুখ খুললেন রেখা, বললেন…
২০০৮ সালের চন্দ্রযান প্রেরণের সময় বলা হয়েছিল চন্দ্র পৃষ্ঠে জল থাকবে। এই একই কথা বলা হয়েছিল চন্দ্রযান টু এর ডুয়াল ফ্রিকোয়েন্সি সিন্থেটিক অ্যাপারচার রাডার যন্ত্রের পোলারিমেট্রিক রাডার ডেটাতেও। গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রায় ৩.৮৫ বিলিয়ন বছর আগে ইমব্রিয়ান সময়কালে যে আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত হয়েছিল তার কারণে জল জমেছিল চাঁদের গর্তগুলিতে।
আরোও পড়ুন : সভায় উপস্থিত শিশুদের ‘লাওয়ারিশ’ তকমা? ফের বেফাঁস মহুয়া, তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি!
রাডার, লেজার, অপটিক্যাল, নিউট্রন, স্পেকট্রোমিটার, আল্ট্রা-ভায়োলেট স্পেকট্রোমিটার এবং চন্দ্রের কক্ষপথে তাপীয় রেডিওমিটারের সহায়তায় এই গবেষণা চালিয়েছিলেন গবেষকরা।মানবসভ্যতার জন্য জলের প্রয়োজন প্রশ্নাতীত। চন্দ্রপৃষ্ঠের নিচে বরফ খনন করে চাঁদকে মানববসতির একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পরিণত করা যেতে পারে। চাঁদে জল সন্ধানের জন্য ড্রিলিং মেশিন প্রেরণ করতে পারে ইসরো বা অন্যান্য মহাকাশ সংস্থাগুলি।
আমেরিকান স্পেস এজেন্সি নাসা বলছে, চাঁদ সৃষ্টির সময়ে গলিত শিলা অর্থাৎ ম্যাগমা দিয়ে তৈরি হয়েছিল তার পৃষ্ঠ। লাখ লাখ বছর ধরে এগুলো শুকিয়ে পরিণত হয়েছে শক্ত পাথরে। পৃথিবী থেকে চাঁদের কিছু উজ্জ্বল ও কিছু অন্ধকার অংশ দেখা যায়। লাভা দিয়ে তৈরি হয়েছিল এই অন্ধকার অংশ যা ‘মারিয়া’ নামে পরিচিত। চাঁদের বাকি উজ্জ্বল অংশকে বলা হয় ‘তাররা’।