বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইতিমধ্যেই আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্টের নাম চূড়ান্ত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) ওই দেশের দায়িত্ব নিতে চলেছেন। আগামী বছরের ২০ জানুয়ারি তিনি শপথ নেবেন। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর সরকার গঠিত হবে। তবে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের ফিরে আসার পর থেকে ভারতীয় সহ বিদেশি ছাত্রদের মনে তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। কারণ, ট্রাম্প সরকার অভিবাসন নীতি কঠোর করবে বলে মনে করছেন শিক্ষার্থীরা।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) সরকার নিয়ে চিন্তিত ভারতীয় শিক্ষার্থীরা:
অপরদিকে, মার্কিন দূতাবাসের এডুকেশন অ্যান্ড কালচারাল অ্যাটাশে (কূটনীতিক) অ্যাডেল গিলেন স্টুডেন্ট ভিসা এবং অপশন প্রাকটিক্যাল ট্রেনিং (ওপিটি) সংক্রান্ত উদ্বেগ দূর করার চেষ্টা করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) নতুন সরকার গঠনের আবহে শিক্ষার্থীরা এই নিয়ে বেশ চিন্তিত। এমতাবস্থায়, গিলেনের তরফে পড়ুয়াদের উদ্দেশ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যেটি এমন একটি সময়ে বলা হয়েছে যখন আমেরিকার ওপেন ডোরস রিপোর্ট (ওডিআর) প্রকাশ করার সময় এসেছে। ওই রিপোর্টে ভারতীয় পড়ুয়াদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা এবং আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে তাঁদের আধিপত্য সম্পর্কে তথ্য উপস্থাপিত হয়।
ট্রাম্পের আগমনে কি ভারতীয় শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্থ হবে: টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে অ্যাডেল গিলেনকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) জেতার পর ভিসা পলিসিতে বড় প্রভাব ফেলবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ভারতীয় শিক্ষার্থীরা শর্ট স্টুডেন্ট ভিসা এবং কোর্স শেষ হওয়ার পরে ওপিটি-তে পরিবর্তন নিয়ে জল্পনা ঘিরে চিন্তিত। এটি কি ভারতীয় শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করবে? এর জবাবে গিলেন বলেন, “ভবিষ্যৎ নীতি সম্পর্কে আমরা কোনও ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারি না। এখনও পর্যন্ত ভিসা আবেদন এবং ভর্তি প্রক্রিয়া একই থাকবে।”
আরও পড়ুন: আর মিলবে না সুযোগ! অস্ট্রেলিয়ায় জিততে না পারলেই চাকরি যাবে গম্ভীরের, কি জানাল BCCI?
ভারতীয়দের মধ্যে স্টুডেন্ট ভিসার চাহিদা বেড়েছে: এর পাশাপাশি অ্যাডেল গিলেন জানান যে, “পড়ুয়ারা আমাদের অগ্রাধিকার থাকবে এবং আমেরিকা ভারতীয় শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চ শিক্ষার এক নম্বর গন্তব্য। এই কারণে গত তিন বছরে স্টুডেন্ট ভিসার চাহিদা অনেক বেড়েছে।” তিনি বলেন, “গত বছর আমরা ২০১৮, ২০১৯, এবং ২০২০ মিলিয়ে বেশি ভিসা দিয়েছি। বিশ্বের শীর্ষ ৪ স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং পোস্ট ভারতে ছিল। ২০২৪ স্টুডেন্ট ভিসার জন্য একটি বড় বছর হতে চলেছে।”
আরও পড়ুন: এবারে হবে আসল ধামাকা! কেরিয়ারের সবথেকে বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন নীরজ চোপড়া
মার্কিন দূতাবাসের আধিকারিক বলেছেন যে, “ভারতে উপস্থিত কনস্যুলার দল মোটেও বিশ্রাম নিচ্ছে না এবং আমরা ভিসা পরিষেবা উন্নত করার জন্য ক্রমাগত কাজ করছি। আমরা আমাদের রিমোট প্রসেসিং ব্যবহার প্রসারিত করেছি।” এর পাশাপাশি ভিসা রিনিউর জন্য আবেদনকারীরা কয়েক দিনের মধ্যে অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।