বাংলা হান্ট ডেস্ক : লাক্ষাদ্বীপ (Lakshadweep) তো ছিল কেবল নিমিত্ত মাত্র। মালদ্বীপ (Maldives) প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর (Mohamed Muizzu) ভারত বিদ্বেষের আসল কারণ যে চিন তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। মূলত বেজিংকে খুশি করতেই ‘ইন্ডিয়া আউট’ নীতি অবলম্বন করেছে চীনপন্থী মুইজ্জু সরকার। আর যার ফল এখন ভুগছে দ্বীপরাষ্ট্রের সাধারণ মানুষ। মুইজ্জুর ঘৃণা সহ্য করতে না পেরে দেশ ছেড়েছেন একাধিক শিক্ষক।
সূত্রের খবর, দ্বীপরাষ্ট্র এখন শিক্ষক সংকটে জর্জরিত। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, সেদেশের পার্লামেন্টেও এই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বেশ ভালোরকম চাপের মুখে পড়েছে ভারত বিদ্বেষী মুইজ্জু সরকার। ঠিক কী হয়েছে সেখানে? কেনই বা শিক্ষকরা মালদ্বীপ থেকে তল্পিতল্পা গোটাচ্ছেন?
মালদ্বীপের মিডিয়া আউটলেট আধাধুর রিপোর্ট অনুযায়ী, মালদ্বীপ ডেমোক্রেটিক পার্টির (এমডিএম) সাংসদ মহম্মদ শহীদ সংসদে এই বিষয়টি উত্থাপন করেন। সেদেশের সংসদে দাঁড়িয়ে তিনি জানিয়েছেন, মহম্মদ মুইজ্জু ভারত বিদ্বেষের কারণে বহু শিক্ষক দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। এবং এতে সমস্যায় পড়েছে দ্বীপরাষ্ট্রের পড়ুয়ারা।
আরও পড়ুন : ধেয়ে আসছে দুর্যোগ! আগামী ২-৩ ঘণ্টায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সতর্কতা দক্ষিণবঙ্গের ৯ জেলাতে: আবহাওয়ার খবর
শিশুদের লেখাপড়া ব্যহত হওয়ার জন্য তিনি দাড়ি করেন বর্তমান সরকারকে। এবং প্রশ্ন তোলেন, মুইজ্জুর সরকার এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মোকাবেলায় ঠিক কী পদক্ষেপ নিয়েছে? সংসদে কোণঠাসা হওয়ার পর কৈফিয়ত দিতে বাধ্য হয় মুইজ্জু সরকার। এবং গত মঙ্গলবার তারা স্বীকার করতে বাধ্য হয় যে, সরকার গঠনের পর অনেক ভারতীয় শিক্ষক মালদ্বীপ ছেড়ে গেছেন।
আরও পড়ুন : দুই হিন্দু শিশুর গলা কেটে রক্ত পান! UP পুলিশের এনকাউন্টারে খতম অভিযুক্ত সাজিদ
এইদিন সংসদে সওয়াল জবাবের সময় মালদ্বীপের শিক্ষামন্ত্রী ড. ইসমাইল শফিফু কোনোরকমে বিতর্কের অবসান ঘটানোর জন্য বলেন, শিক্ষক নেই ঠিক কথা। তবে এর কারণে কোনও সংকটজনক পরিস্থিতি তৈরী হয়নি। যদিও মালদ্বীপের শিক্ষামন্ত্রীর দাবি করেন, ‘একজন শিক্ষক চলে গেলে কয়েক সপ্তাহের জন্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। গত ৩০ বছরের পরিসংখ্যান দেখলে দেখা যাবে, বিদেশী শিক্ষকরা মাঝে মাঝে একটি ছোট দ্বীপে আসেন এবং এক মাস পরে চলে যেতে চান। তাই মালদ্বীপের স্কুলগুলিতে এমন পরিস্থিতি নেই। শিক্ষক সংকট। এটা সঠিক তথ্য নয়।’