করোনা ভ্যাকসিন চেয়ে ভারত এর সামনে এখন একের পর এক দেশ লাইন লাগিয়ে দিয়েছে। নেপাল থেকে শুরু করে ব্রাজিলের মতো দেশ ভারতের কাছে ভ্যাকসিনের আবেদন জানিয়েছে। চীনের তৈরি ভ্যাকসিনকে পাত্তা বাতিল করে নেপাল, ব্রাজিল ভারতের থেকে ভ্যাকসিন চেয়েছে। তবে আপাতত ভারত সরকার ব্রাজিলকে ভ্যাকসিন দেওয়ার বিসয়ে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। চাইনার কম্পানি Sinovac এর ভ্যাকসিন ব্রাজিলকে পুরোপুরি অদৃশ্য খাদে ফেলে দিয়েছে।
আসলে চিন ব্রিক্স দেশের অংশ, সেহেতু ব্রাজিল চীনের সাথে সম্পর্ক মজবুত করতে চীনের করোনা ভেক এর ট্রায়ালকে মঞ্জুরি দিয়েছিল। তবে চীনের ভ্যাকসিন ব্রাজিলে একেবারে ফেল হয়েছে। ব্রাজিল চায়না কোম্পানির ভ্যাকসিনের উপর অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। ব্রাজিলের মোট জনসংখ্যা ২১ কোটি। তা সত্ত্বেও ব্রাজিলের অবস্থা দিন দিন খারাপ হয়ে ছলেছে। এই কারনে ব্রাজিলে ভ্যাকসিনের চাহিদা প্রবল থেকে প্রবলতর হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন ব্রাজিলে প্রায় ৬০,০০০ এর মতো কেস সামনে আসছে।
ব্রাজিলের প্রধানমন্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে এক বিশেষ চিঠি লিখে শীঘ্রই ২০লক্ষ ডোজ ভ্যাকসিন প্রেরন করার অনুরধ জানিয়ে ছিলেন। লক্ষণীয় যে, ভারত সহ বেশকিছু দেশ ভাক্সিনেসনের পক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। অন্যদিকে ব্রাজিলের ভ্যাক্সিনেশন পক্রিয়ার নামগন্ধ নেই। যে কারনে ব্রাজিল সরকার রীতিমতো চাপে পড়েছে। ব্রাজিলের জনগন লাগাতার সরকারের উপর চাপ বৃদ্ধি করছে। চাপে পড়ে ব্রাজিল একটা কার্গো প্লেন ভারতে থেকে ভ্যাকসিন আনার জন্য পাঠিয়েছে।
তবে ভারতের থেকেও ব্রাজিল হতাশাজনক খবর পেয়েছে। আসলে ভারত আপাতত ভ্যাকসিন দিতে মোটেও রাজি নই। আসলে ভারত আগে নিজের জনগনের ভাক্সিনেসন্ন পক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে চাই। তারপরেই অন্য দেশকে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু করবে। অন্যদিকে ভারত এই মুহূর্তে শুধু ব্রাজিলকে ভ্যাকসিন দিলে আন্তর্জাতিক মহলে অন্য বন্ধু দেশ অসন্তোষ প্রকাশ করতে পারে। যে কারনে ভারত ব্রাজিলকে ভ্যাকসিন দিতে কিছু সময় নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।