বাংলাহান্ট ডেস্কঃ শেষ পর্যন্ত লকডাউনের মধ্যে বিয়েটা (Marriage) সেরেই নিল ভারতীয় যুবক এবং তার মেক্সিকান বান্ধবী। অনেক আগেই সারা হয়ে গেছে বাগদান পর্ব। বিয়ের জন্য স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টে আবেদনও জানানো হয়ে গেছিল। কিন্তু বাঁধা হয়ে দাঁড়াল করোনা ভাইরাস (COVID-19)। সংক্রমিত এই ভাইরাসের কারণে বিয়ের সময় নির্ধারন হয়ে গেলেও লকডাউনের জন্য সব আটকে যায়। শেষ পর্যন্ত অনুরোধের ফলে মাঝরাতে আদালতের দরজা খুলে তাঁদের চার হাত এক করে দেওয়া হয়।
বর্তমানে স্যোশাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে বিভিন্ন ধরণের অ্যাপ। এরই মধ্যে ল্যাঙ্গুয়েজ লার্নিং অ্যাপের মাধ্যমে ২০১৭ সালে আলাপ হয় মেস্কিকান অধিবাসী ডানা জোহেরি অলিভেপাস ক্রুইসের সঙ্গে হরিয়ানার রোহতকের যুবক নীরঞ্জন কাশ্যপের। আলাপ পর্ব শেষ হওয়ার পর ধীরে ধীরে দুজনের মধ্যে এক প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। তারা দুজনেই ঠিক করে বিয়ে করবে। সেইমতো ২০১৮ সালে দুই বাড়ির সদস্যের উপস্থিতিতে ভারতে তাঁদের বাগদান পর্ব সারা হয়। বিয়ের জন্য স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বিয়ের আবেদনও জানায় তারা।
ভালোবাসার মানুষকে কাছ ছাড়া না করতে চেয়ে তাড়াতাড়ি বিয়েটা সেরে নিতে চায় ওই প্রমিক যুগল। পাত্র নীরঞ্জন জানায়, ‘গত ১১ ই ফেব্রুয়ারী ডানা তার মাকে নিয়ে আমার জন্মদিন পালন করতে ভারতে আসে। তখন ১৭ ফেব্রুয়ারি আমরা স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টে বিয়ের জন্য আবেদন করি। মাঝখানের ১ মাসের নোটিশের সময় শেষ হয় ১৮ মার্চ। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে করোনা ভাইরাসের জেরে দেশজুড়ে লকডাউন চালু হয়ে যায়। যার ফলে আমাদের বিয়েটা আটকে যায়। তখন আমরা স্থানীয় জেলাশাসকের দরবারে আবেদন জানাই। এবং তাঁদের সাহায্যেই গত ১৩ মার্চ আমাদের জন্য আদালত খুলে আমাদের বিয়ে দেওয়া হয়’।
নিয়ম মেনে কোর্ট ম্যারেজ হলেও কিন্তু সেখানে মেনে চলা হল লকডাউনের নিয়ম। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বিয়ের পর নতুন বর-কনে কিন্তু একসঙ্গে কোন ছবি তুললা না, মাঝে বজায় রাখল দূরত্ব। বিয়ের পর ২৪ মার্চ মেক্সিকোয় ফিরে যাওয়ার কথা ছিল ডানার। কিন্তু লকডাউনের জেরে আগামী ৫ ই মে সে ফেরার টিকিট কাটে। নতুন জীবনে পা রেখে ডানা জানায়, ‘আমাদের ২০১৭ সালে পরিচয় হয়। ২০১৮ সালে বাগদানের সময় আমি ভারতে এসেছিলাম। এবং তারপর আবার মেক্সিকোয় ফিয়ে যাই। দীর্ঘ ২ বছর পর আমাদের দেখা হল। লকডাউনের ফলে আমাদের আটকে যাওয়া বিয়েটা প্রশাসনের সাহায্যে সম্পন্ন হওয়ায় আমরা খুব খুশি’।