ভারতের এই চারটি স্থানে ভারতীয়দেরই প্রবেশ নিষিদ্ধ, কারণ অবাক করার মতো

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভারতে (India) প্রচুর পরিমাণে ভ্রমণ স্থান রয়েছে। ভারতের প্রায় সর্বত্রই ছড়িয়ে রয়েছে যেমন কোন না কোন তীর্থস্থান, তেমনই আবার নানান ধরনের পাহাড় (Hill station), সমুদ্র (Sea) এবং মরুভুমিও (Desert) রয়েছে। বিশেষত এইসব জায়গায় পর্যটকদের সংখ্যা একটু বেশি দেখা যায়। আবার ভ্রমণপিপাসুদের কাছে ভ্রমণের জায়গা খুঁজে নেওয়ার বৈচিত্র্যও দেখা যায়।

photo

এই বিভিন্ন ধরনের ভ্রমণ স্থান থাকা স্বত্বেও ভারতে এমন কিছু জায়গা আছে যেখানে ভারতীয়দের প্রবেশ নিষেধ। তবে সেখানে বিদেশি পর্যটকদের প্রবেশ থাকলেও, ভারতীদের প্রবেশাধিকার একেবারেই নেই। যেমন- হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) ফ্রী ক্যাসোল ক্যাফেতে ভারতীয়দের প্রবেশাধিকার কিন্তু নেই।

ভারতের মধ্যে অবস্থান হওয়া স্বত্বেও, ওই ক্যাফের সঞ্চালনার দায়িত্বে রয়েছে ইজরায়েলের অধিবাসীরা করে থাকে। ২০১৫ সালে এই ক্যাফেতে এক ভারতীয় মহিলা গেলে, তাঁকে খাবার পরিবেশন করা হয় না। তাঁদের বক্তব্য ছিল, তাঁরা তাঁদের মেম্বার ছাড়া অন্য কাউকে খাবার পরিবেশন করবে না। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই ক্যাফেটি সমালোচনার মুখে পড়ে। ক্যাফের মালিক জানায়, এই ক্যাফে ভারতীয় পর্যটক পুরুষরা প্রবেশ করে অন্যান্য পর্যটকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। এই কারণে এখানে ভারতীয়দের প্রবেশ নিষেধ।

২০১২ সালে স্থাপিত হওয়া ব্যাঙ্গালরের ( Bangalore) ইউ নো ইন হোটেলে শুধুমাত্র জাপানী পর্যটকদের প্রবেশের অধিকার ছিল। হোটেল আধিকারিকদের বক্তব্য ছিল তাঁরা জাপানের (Japan) বেশ কয়েকটি কোম্পানির সঙ্গে তাঁদের চুক্তি থাকার কারণে তাঁরা এই কাজ করত। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে ব্যাঙ্গালোর সিটি কর্পোরেশনের তরফ থেকে এই হোটেলটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। চেন্নাইয়ের (Chennai) রেড ললিপপ হোস্টেলে প্রবেশের জন্য পাসপোর্টের প্রয়োজন। তাই যেসব ভারতীয়দের কাছে পাসপোর্ট রয়েছে তারাই প্রবেশ করতে পারে।

photo 2

সামুদ্রিক ভ্রমণ স্থানের মধ্যে গোয়া (Goa) অতি জনপ্রিয় একটি জায়গা। সেখানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকেরা বেড়াতে আসেন। তবে গোয়ার অন্যান্য বিচে ভারতীয়দের প্রবেশ থাকলেও গোয়ার অঞ্জনা বিচে কিন্তু ভারতীয়দের প্রবেশ নিষেধ। স্থানীয়দের বক্তব্য, দেশীয় লোকেরা ওই স্থানে ভ্রমণের জন্য আসা বিদেশি পর্যটকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। তাই বিদেশি পর্যটকদের সুবিধার্থে সেখানে ভারতীয়দের প্রবেশাধিকার নেই।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর