চীনের দ্রব্য বয়কটের পণ নিয়েছে ভারতীয়রা, নতুন সেট লঞ্চ বাতিল করল অপ্পো

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ চীনা মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারক সংস্থা অপ্পো (oppo) নতুন সেট লঞ্চ স্থগিত করল। ভারতে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে চীনা (china) পণ্য বর্জনের ডাক। শাওমি, অপ্পো, ভিভো-র মতো অজস্র চীনা কোম্পানির মোবাইল ফোন ভারতে অসম্ভব জনপ্রিয়। কিন্তু রাতারাতি সেইসব ফোন বর্জনের অঙ্গীকার করতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রেটিদের অনেকেই। শুধু মোবাইল ফোনই নয়- চীনের সঙ্গে সামান্যতম সম্পর্ক আছে, এমনসব অ্যাপ বয়কট করার ডাকও ভারতে তুমুল সাড়া ফেলতে শুরু করেছে। বাদ যায়নি টিকটকের মতো ভীষণ জনপ্রিয় অ্যাপও। গোটা ভারতে বারো কোটিরও বেশি মানুষ এই চটজলদি ভিডিও টুলটি ব্যবহার করে থাকেন।

অনেকেই এখন টিকটক আনইনস্টল করতে শুরু করেছেন। এই তালিকায় আছেন মডেল ও তারকা মিলিন্দ সোমানের মতো ব্যক্তিত্বওরাও। লাদাখ সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় চীন হামলায় ভারতীয় সেনাদের মৃত্যুর ঘটনায় দেশের মধ্যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে শুধু চিনের প্রতি বিদ্বেষ। চীনা পণ্য বয়কটেরও হিড়িক পড়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কিছুটা চাপে পড়েই নতুন সেট লঞ্চ স্থগিত করল চীনা মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারক সংস্থা অপ্পো।

oppo

লাদাখ সীমান্তে চিনা হামলায় ভারতীয় সেনাদের মৃত্যুর ঘটনার পর থেকে সারা ভারত জুড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে চীনা পণ্য বয়কটের হিড়িক। আর সেই কারণেই কিছুটা চাপে পড়েই নতুন ফোন লঞ্চ স্থগিত করল ভারতে বহুল পরিচিত চীনা মোবাইল সংস্থা অপ্পো।

বুধবার ইউটিউব লাইভের মাধ্যমে ভারতে অপ্পো এর নতুন ফোন এক্স-টু অ্যান্ড্রয়েড লঞ্চ করার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎই তা বাতিল করে দেয় চীনা সংস্থাটি।সংবাদসংস্থা রয়টার্স এর মাধ্যমে জানা গিয়েছে, ভারত এবং চীনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কোনও ফোন লঞ্চ করবে না অপ্পো।

উল্লেখ্য, বিগত কয়েক বছর ধরেই ভারতের মোবাইল ফোনের বাজারে চীনা ব্র্যান্ডগুলির জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। অপ্পো, শাওমি এর ফোন প্রায় অর্ধেকের বেশি ভারতবাসীর হাতে। সমীক্ষা অনুযায়ী ভারতে ১০টি ফোন বিক্রি হলে তার মধ্যে আটটি অপ্পো এবং শাওমির। কিন্তু বর্তমান উত্তপ্ত পরিবেশে যেখানে সারা ভারত জুড়ে চীনের দ্রব্য বর্জনের ডাক উঠেছে সেখানে শুধু অপ্পো নয়। সমস্যায় পরতে হবে আরও একাধিক চীনা সংস্থাকে।

oppooooo

শুধু ফোন নয়। বিগত কয়েক বছর ধরে ভারতের বাজারে চীনের বেশকিছু অনলাইন সংস্থা যেমন ক্লাব ফ্যাক্টরি, শিন, আলিবাবা, উইশের মতন বহু শপিং অ্যাপকেও সমস্যায় পড়তে হবে। ইতিমধ্যে, ভারতে চীনা বিনোদন অ্যাপ টিকটক নিয়ে বেশ উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।

প্রসঙ্গত, পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় চীন-ভারত সংঘর্ষে প্রাণ গিয়েছে ২০ জন ভারতীয় জওয়ানের। ১৯৭৫ সালের পর এই প্রথম চীনা সেনাদের হামলায় ভারতীয় জওয়ানদের প্রাণ গেল। তারপর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছে দেশ। আর এই কারণেই দেশ জুড়ে চলছে চীন বিরোধী বিক্ষোভ। আর তাই চীন দ্রব্য বর্জনের দাবি তুলছে সকলে।


সম্পর্কিত খবর