বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে একের পর এক বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে ভারত (India)। সেই রেশ বজায় রেখে এবার একটি বড় আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ভারত কাতার (Qatar) থেকে ২০৪৮ সাল পর্যন্ত LNG (Liquified Natural Gas) আমদানির সময়সীমা বাড়ানোর জন্য একটি ৭৮ ডলারের চুক্তি সম্পন্ন করেছে। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, যা বর্তমান দামের চেয়ে কম দামে এই চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।
মূলত, ভারতে LNG-র সব থেকে বড় আমদানিকারক Petronet LNG Ltd. এই চুক্তি QatarEnergy-র সাথে সম্পন্ন করেছে। যেখানে, বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি সার তৈরি এবং CNG রূপান্তরের জন্য বছরে ৭৫ লক্ষ টন গ্যাস কেনার উল্লেখ রয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, এই দাম বর্তমান মূল্যের তুলনায় “উল্লেখযোগ্যভাবে” কম হবে। এদিকে কয়েক মাস আগেই কাতার আটজন ভারতীয় নৌ সেনার প্রাক্তন আধিকারিকদের মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল। যার ফলে সরগরম হয়ে উঠেছিল চারিদিক।
যদিও সেই মৃত্যুদণ্ডের বিধান পরে তুলে নেওয়া হয়। ঠিক এই আবহে এহেন গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি উঠে এসেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। এই মৃত্যুদণ্ডের বিধানের সাথে বর্তমান চুক্তির তেমন প্রত্যক্ষ যোগাযোগ নেই। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, এই চুক্তির আগেও আরেকটি চুক্তি সম্পন্ন হয়েছিল। যেটির মেয়াদ শেষ হতে চলেছে ২০২৮ সালে। মূলত, Petronet বর্তমানে দু’টি চুক্তির অধীনে কাতার থেকে বছরে ৮.৫ মিলিয়ন টন LNGআমদানি করে। প্রথম চুক্তিটির ছিল ২৫ বছরের মেয়াদ। এটি শেষ হবে ২০২৮ সালে। এমতাবস্থায়, এবার দ্বিতীয় চুক্তির মাধ্যমে আরও অতিরিক্ত ২০ বছরের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ফের অ্যাকশনে আন্দোলনকারীরা! কেন্দ্রীয় হরে DA না মেলায় রাজ্য সরকারকে বড় হুমকি
উল্লেখ্য যে, বর্তমানে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম এনার্জি কনজিউমার হিসেবে বিবেচিত হয়। এমতাবস্থায়, প্রাকৃতিক গ্যাসকে ২০৭০ সালের মধ্যে নেট শূন্য কার্বন নির্গমনে স্থানান্তরিত করার জন্য একটি রূপান্তর জ্বালানি হিসেবেও দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি ভারতের লক্ষ্য হল, এনার্জি সেক্টরে প্রাকৃতিক গ্যাসের পরিমাণ বর্তমানে থাকা ৬.৩ শতাংশ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে ১৫ শতাংশ করা।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগেই মোদীর মাস্টারস্ট্রোক! দেশের ৬.৫ কোটি মানুষকে দুর্দান্ত উপহার দিল কেন্দ্র
সূত্র জানায়, বর্তমানে থাকা চুক্তির মূল্য হল ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের ১২.৬৭ শতাংশ সহ প্রতি মিলিয়ন ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিটে ০.৫ ডলার। এদিকে নতুন চুক্তির অধীনে, মূল্য কমবেশি একই থাকবে। তবে, ০.৫ ডলারের নির্দিষ্ট চার্জ বাতিল হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও, ভারত শিপিংয়ের ক্ষেত্রে ০.৩০ ডলার প্রতি mmBtu সাশ্রয় করবে। কারণ কাতার চুক্তিটিকে ফ্রি অন বোর্ড (এফওবি) থেকে ডেলিভারড এক্স শিপ (ডিইএস)-এ রূপান্তর করতে সম্মত হয়েছে। এদিকে, সামগ্রিকভাবে এই চুক্তির মাধ্যমে কাতারও আরও ২০ বছরের জন্য স্থায়ীভাবে একটি রপ্তানিকারক দেশও পেয়ে গেল।