বাংলা হান্ট ডেস্ক: সম্প্রতি প্রবল বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর (Pakistan Occupied Kashmir)। মূলত, ন্যূনতম অধিকারের দাবিতে সেখানে বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেন সাধারণ মানুষ। যার জেরে পাকিস্তান সরকার রীতিমতো চাপে পড়ে যায়। এদিকে, সংবাদসংস্থা PTI-এর রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে, চাপে পড়ে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার লক্ষ্যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ (Shehbaz Sharif) পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের জন্য ২৩ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি বরাদ্দ করতে বাধ্য হয়েছেন।
পাশাপাশি, তিনি মুজফফরাবাদেও গিয়েছিলেন। এমতাবস্থায় তিনি দাবি করেছেন যে সাধারণ মানুষেরা নায্য দাবি তুললেও আসল সমস্যা বাধাচ্ছেন সমাজবিরোধীরা। তবে এবার, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বড়সড় প্রতিক্রিয়া জানালো ভারত। শুধু তাই নয়, ভারতের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হল যে, পাকিস্তান যে কাজ করে আসছে তার ফল তাকে ভুগতেই হবে। নয়াদিল্লি জানিয়েছে, ইসলামাবাদ দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে দখলে রাখা এলাকায় লুঠতরাজের নীতি চালিয়ে গিয়েছে।
আর, এর ফলেই স্বাভাবিক পরিণতি হিসেবে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে শুরু হয়েছে বিক্ষোভের আবহ। এর পাশাপাশি, নয়াদিল্লি আরও একবার জানিয়ে দিল যে, সমগ্র কাশ্মীর ভারতেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই প্রসঙ্গে, সাংবাদিক বৈঠকের ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র জয়সওয়াল জানিয়েছেন, “আমরা ইতিমধ্যেই পাক-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন অংশে বিক্ষোভের খবর দেখেছি। আমাদের মতে, অবৈধভাবে এবং জোর করে নিজেদের দখলে রাখা অঞ্চল থেকে লাগাতার সম্পদ লুঠের নীতি বজায় রেখেছে পাকিস্তান। আর সেই কারণেই স্বাভাবিক পরিণতি হিসেবে এই ঘটনা ঘটছে।”
আরও পড়ুন: আয়তনে জার্মানির সমান, ১০ বছরে ভারতে যুক্ত হয়েছে ৩১,০০০ কিমির রেলপথ! জানালেন রেলমন্ত্রী
পাশাপাশি, ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র আরও জানিয়েছেন, পাকিস্তানের ওইরকম নীতির কারণেই নিজেদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন স্থানীয় মানুষ। স্থানীয় সম্পদ ব্যবহার করার যে অধিকার তাঁরা সেটাও পান না। তিনি বলেন, “আমরা আবারও জানাচ্ছি যে, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীর এবং সমগ্র লাদাখ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং সবসময় থাকবে।”
আরও পড়ুন: হেলমেট না পরে গাড়ি চালানোয় ১,০০০ টাকার জরিমানা ব্যক্তির! তারপরে যা হল….
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে প্রায়শই বিক্ষোভের ঝড় ওঠে পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে। মূলত সম্প্রতি যে বিক্ষোভটি শুরু হয়েছে তা পাক অধিকৃত কাশ্মীরে আটা এবং বিদ্যুতের অত্যাধিক দামের কারণে শুরু হয়েছে। এর পাশাপাশি সেখানে উচ্চহারে কর নেওয়া হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে। এদিকে, এই বিক্ষোভের ফলে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে ৩ জন সাধারণ মানুষ সহ মোট ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর মিলেছে।