বড়সড় ঘোষণা সরকারের! এবার ভারতের প্রথম পড ট্যাক্সি চলবে এই শহরে

বাংলা হান্ট ডেস্ক: সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে এবং ক্রমবর্ধমান যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে দেশজুড়ে পরিবহণ ব্যবস্থাকে আরও প্রসারিত করা হচ্ছে সরকারের তরফে। এমনকি, বিভিন্ন নিত্যনতুন পরিবহণ মাধ্যমও শুরু হচ্ছে দেশে। সেই রেশ বজায় রেখেই এবার ভারতে প্রথমবারের মত শুরু হতে চলেছে পড ট্যাক্সির (Pod Taxi) পরিষেবা।

কোথায় শুরু হচ্ছে এই পরিষেবা: ইতিমধ্যেই মন্ত্রিসভার বৈঠকে একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে হরিদ্বার জেলাকে নতুন উপহার দিয়েছে উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand) সরকার। সেখানকার পুষ্কর সিং ধামি মন্ত্রিসভা হরিদ্বারে ২০.৭৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ট্র্যাকে পার্সোনাল র‌্যাপিড ট্রানজিট সিস্টেমের আওতায় পড ট্যাক্সি চালানোর অনুমোদন দিয়েছে। জানা গিয়েছে, হরিদ্বার পড ট্যাক্সি প্রকল্প পিপিপি মোডে প্রস্তুত করা হবে।

মন্ত্রিসভার এহেন সিদ্ধান্তের কারণ: মূলত, হরিদ্বারকে কুম্ভ নগরীও বলা হয়। তাই যাত্রীদের সুবিধার্থে সেখানে পরিবহণের ক্ষেত্রে আধুনিক মাধ্যম গড়ে তোলার জন্য উত্তরাখণ্ড মেট্রো কর্পোরেশন পড ট্যাক্সি চালানোর প্রস্তাব তৈরি করেছে। হরিদ্বারের জ্বালাপুরের শেষ প্রান্ত থেকে ভারত মাতা মন্দির এবং দক্ষিণ প্রজাপতি মন্দির থেকে লাকসার রোড পর্যন্ত মোট ৪ টি করিডোর তৈরি করা হবে। এই করিডোরে ২০.৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ট্র্যাক থাকবে এবং সেখানে পড ট্যাক্সি চালানো হবে।

বিস্তারিত প্রোজেক্ট রিপোর্ট প্রস্তুত: জানা গিয়েছে যে, উত্তরাখণ্ড মেট্রো কর্পোরেশন ইতিমধ্যেই একটি বিস্তারিত প্রোজেক্ট রিপোর্ট তৈরি করেছে। এমতাবস্থায়, মন্ত্রিসভা থেকে অনুমোদনের পর এই কাজের টেন্ডার আহ্বান করা হবে। এই রুটের প্রধান স্টেশনগুলির মধ্যে রয়েছে সীতাপুর, জ্বালাপুর, আর্য নগর, রামনগর, রেলওয়ে স্টেশন, হারকি পাইডি, খড়খড়ী, মতিচুর, শান্তিকুঞ্জ, ভারত মাতা মন্দির, গণেশপুর মন্দির, জগজিতপুর এবং লাকসার। দেড় বছরের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে জানানো হয়েছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণের খুব বেশি প্রয়োজন হবে না।

pod taxi

অন্যান্য শহরের কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, উত্তরাখণ্ডেই পড ট্যাক্সির প্রথম ব্যবহার হবে। সেখানকার সরকারি আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এই প্রকল্পের সাফল্যের ওপর অনেক কিছুই নির্ভর করছে। পাশাপাশি, এই পরিকল্পনা সাফল্য পেলে তা দেশের বাকি শহরগুলির কাছেও একটি বড় উদাহরণ হয়ে থাকবে বলে মনে করছেন তাঁরা।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর