সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছল বিদেশি মুদ্রা ভাণ্ডার, GDP-রপ্তানি বৃদ্ধির পর আরও একটি সাফল্য মোদী সরকারের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জিডিপি এবং আমদানি রপ্তানির ক্ষেত্রে উন্নতির পর এবার ভারতের বিদেশি মুদ্রাকোষেও বড় সম্প্রসারণ চোখে পড়ল। বিদেশি মুদ্রা সাধারণত বড় কাজে লাগে অর্থনৈতিক সংকটের সময়, কয়েকদিন আগেই জানা গিয়েছিল বিদেশি মুদ্রার সংগ্রহ শেষের আসার কারণে আমদানির ক্ষেত্রে মারাত্মক সংকটে পড়েছিল শ্রীলংকা। যার জেরে এখন অর্থনৈতিক সমস্যা ভয়ানক রূপ ধারণ করেছে সেই দেশে। এর থেকেই বোঝা যায় অর্থব্যবস্থায় বিদেশি মুদ্রা ঠিক কতখানি গুরুত্বপূর্ণ।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালে ৪০ কোটি ডলারের জন্য ইংল্যান্ডের কাছে প্রায় ৫৭ কেজি সোনা বন্ধক রাখতে হয়েছিল ভারতে। তবে এখন বিদেশী মুদ্রা ভান্ডারের ক্ষেত্রে ভারতের পরিস্থিতি অনেকটাই আশাব্যঞ্জক। ২৭ আগস্ট প্রায় ১৬.৬৬৩ বিলিয়ান ডলার বৃদ্ধির সাথে সাথে এই মুহূর্তে ভারতের বিদেশি মুদ্রার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৩৩.৫৫৮ বিলিয়ন ডলারে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য আগস্টের ২০ তারিখেই ২.৪৭ বিলিয়ন ডলার পতনের ফলে এই পরিমান দাঁড়িয়েছিল ৬১৬.৮৯৫ বিলিয়ান ডলারে। তবে ফের একবার বিদেশি মুদ্রার পরিমাণ এখন রেকর্ড ছুঁয়েছে।

এই মুহূর্তে ভারতের কাছে যে পরিমাণ বিদেশী মুদ্রা রয়েছে, তাতে নিঃসংকোচে এক বছরেরও বেশি আমদানি চালানো সম্ভব। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের এই বৃদ্ধি সম্ভব হয়েছে বিশেষ ড্রয়িং রাইটস (SDR) হোল্ডিং বৃদ্ধির কারণে। জানিয়ে রাখি বিদেশি মুদ্রা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করে বৈদেশিক মুদ্রার দামের উত্থান পতনও। বিশেষত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে থাকা ইউরো, পাউন্ড এবং ইয়েনের মূল্য বৃদ্ধি এবং হ্রাস এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করে।

pm modi generic 650x400 71444809063

একই সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে ভারতের সোনার মজুতও। বর্তমানে প্রায় ১৯.২ বিলিয়ন ডলার বেড়ে ভারতের সোনার মজুতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৭.৪৪১ বিলিয়ন ডলারে। যা অর্থব্যবস্থার সংকটের ক্ষেত্রে এক বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। এক্ষেত্রে আগামীদিনে ভারত কোন সংকটে পড়লে যুদ্ধাস্ত্রসহ অন্যান্য আমদানির ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে এই সোনা এবং বিদেশী মুদ্রার ভান্ডার।

 

Abhirup Das

সম্পর্কিত খবর