বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার ভারতীয় শিল্পক্ষেত্রের প্রসঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যান সামনে এল। শুধু তাই নয়, ওই পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, মুদ্রাস্ফীতির আবহেও রীতিমতো চাঙ্গা হয়েছে ভারতীয় শিল্পক্ষেত্র। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের নভেম্বরের তুলনায়, ২০২২ সালের নভেম্বরে প্রায় ৭.১ শতাংশ হারে শিল্প উৎপাদন (Industrial Production) বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে, বিশ্বজুড়ে চলা বিভিন্ন অচলাবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে তৈরি হওয়া কঠিন অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মাঝেও কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান মন্ত্রকের রিপোর্টে এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। উল্লেখ্য যে, গত অক্টোবরে মাসে শিল্প উৎপাদনের হার প্রায় ৪ শতাংশ সংকুচিত হয়েছিল। সেই কারণেই স্বাভাবিকভাবে নভেম্বরের ফলাফল নিয়ে এতটা আশাবাদী ছিলেন না অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।
পাশাপাশি তাঁরা অনুমান করেছিলেন যে, নভেম্বরে এই বৃদ্ধির হার ২.৬ শতাংশ হতে পারে। যদিও, বাস্তবে ওই পূর্বাভাসের চেয়ে ঢের ভালো ফলাফল সামনে এসেছে। উল্লেখ্য যে, মুদ্রাস্ফীতির প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি বড় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে। যার জেরে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের এই প্রচেষ্টায় কিছুটা সাফল্য মিলেছে।
কারণ, পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার গত ১২ মাসের সর্বনিম্নে অর্থাৎ ৫.৭ শতাংশে নেমে এসেছে। এমতাবস্থায়, ২০২১ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে এটাই হল সর্বনিম্ন মাসিক মুদ্রাস্ফীতির হার। যদিও, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ইতিমধ্যেই পলিসি রেট বাড়িয়ে ৬.২৫ শতাংশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক।
এদিকে, গ্রামীণ ব্যয়ের ক্ষেত্রও অনেকটা সংকোচন হয়েছে। সর্বোপরি, ঋণের ক্ষেত্রে এই সুদ বৃদ্ধির কারণে সরাসরি প্রভাবিত হয়েছে উৎপাদনের বিনিয়োগ। আর এই ঘটনা না ঘটলে আরও দারুণ পরিসংখ্যান আসতে পারত বলেও অনুমান করা হচ্ছে।