বাংলা হান্ট ডেস্ক: গত শনিবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহাসমারোহে উদ্বোধন করেন “পদ্মা মাল্টিপারপাস ব্রিজ”-এর। যা নিয়ে রীতিমতো হইচই পড়ে যায় সর্বত্র। এমনকি, বাংলাদেশের প্রশাসনের তরফে দাবি করা হয় যে, ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের পর এহেন বৃহৎ সেতু নির্মাণ সেই দেশের সব থেকে চমকপ্রদ ঘটনা।
তবে, এই পদ্মা সেতুর ফলে কলকাতা থেকে ঢাকার দূরত্ব কমে গেল প্রায় দেড়শো কিলোমিটার! কিন্তু, আপনারা কি জানেন নবনির্মিত পদ্মা ব্রিজের তুলনায় বহুদূর এগিয়ে ভারতের দীর্ঘতম ব্রিজ ঢোলা-সাদিয়া তথা ভূপেন হাজারিকা সেতু! বর্তমান প্রতিবেদনে আমরা সেই প্রসঙ্গটিই বিস্তারিতভাবে উপস্থাপিত করব।
দৈর্ঘ্যতে যথেষ্ট বড় ভূপেন হাজারিকা ব্রিজ:
মূলত, পদ্মা সেতুর তুলনায় ঢের বড় এই ব্রিজ তৈরি করতে সময় এবং খরচ দু’টোই কম লেগেছে। অসমের তিনসুকিয়া জেলার সাদিয়াতে ব্রহ্মপুত্রের উপর তৈরি হয়েছে ৯.১৫ কিলোমিটার লম্বা ঢোলা-সাদিয়া ব্রিজ। এই বিশালাকার ব্রিজ তৈরি করতে ভারতের সময় লাগে মাত্র ৬ বছর। অপরদিকে, ৬.১৫ কিলোমিটারের পদ্মা সেতু তৈরিতে চিনা এবং কোরিয়ান ইঞ্জিনিয়ারদের লেগেছে প্রায় ১২ বছর। অর্থাৎ, ঢোলা-সাদিয়া ব্রিজের তুলনায় দৈর্ঘ্যে ছোট হয়েও পদ্মা সেতু তৈরিতে প্রায় দ্বিগুণ সময় লেগেছে।
খরচে এগিয়ে বাংলাদেশ:
ঢোলা-সাদিয়া তথা ভূপেন হাজারিকা সেতু তৈরিতে খরচ হয়েছিল মোট ২,০৫৬ কোটি টাকা। অন্যদিকে, পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে গিয়ে বাংলাদেশের কাছ থেকে চিনের কোম্পানি নিয়েছে ৩০ হাজার কোটি বাংলাদেশি টাকা।
পদ্মা সেতুতে দিতে হয়ে টোল:
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ভূপেন হাজারিকা সেতুতে চলাচলের ক্ষেত্রে যাত্রীদের কোনোরকম টোল/ট্যাক্স দিতে হয়না। যদিও, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার দিন থেকেই ট্যাক্স নেওয়া হচ্ছে যাত্রীদের কাছ থেকে। এমনকি, এই টোল নেওয়া হচ্ছে বাইকআরোহীদের থেকেও। জানা গিয়েছে, দীর্ঘ ৬৫ বছর যাবৎ যাতায়াতের ক্ষেত্রে যাত্রীদের টোল দিতে হবে পদ্মা সেতুতে। অর্থাৎ, এদিক থেকেও এগিয়ে ঢোলা-সাদিয়া ব্রিজ।