বাংলাহান্ট ডেস্ক : বড় সাফল্য পেল দিল্লি পুলিশ। দেশের সবচেয়ে বড় গাড়ি চোর অনিল চৌহানকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। অনিলের বিরুদ্ধে ২৭ বছরে ৫০০০ গাড়ি চুরির অভিযোগ রয়েছে। গাড়ি চুরি ছাড়াও অনিলের বিরুদ্ধে খুন, অস্ত্র আইন ও চোরাচালানের মামলা রয়েছে।
জানা গিয়েছে, অসম থেকে অনিল চৌহানকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় দিল্লি পুলিশের একটি বিশেষ দল। অনিল গত ২৭ বছর ধরে অপরাধ জগতে সক্রিয়। তিনি ৯০ এর দশকে সর্বাধিক সংখ্যক গাড়ি (মারুতি ৪০০) চুরি করেছিলেন। অনিল জম্মু ও কাশ্মীর, নেপাল ও উত্তর-পূর্ব রাজ্যে অনেক চুরি করা গাড়ি বিক্রি করতেন। অনিল চৌহান আসাম সরকারের প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার ছিলেন। পরে, ইডি তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে এবং তার সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে। এরপর তার সম্পত্তি নিলাম করা হয়।
অনিল চৌহান গন্ডারের শিং পাচার করতেন। তার কাছ থেকে ৬টি অবৈধ পিস্তল, ৭টি কার্তুজ, একটি চোরাই বাইক ও একটি গাড়ি উদ্ধার করেছে পুলিশ।অনিল ১৯৯০ সালে দিল্লির খানপুর এলাকায় থাকতেন এবং অটোরিকশা চালাতেন। এর পর সে অপরাধ জগতে প্রবেশ করে। সে গাড়ি চুরি শুরু করে। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। অনিল গাড়ি চুরির থেকে প্রচুর সম্পত্তি তৈরি করেন।তার সম্পত্তি দিল্লি, মুম্বাই এবং উত্তর-পূর্ব রাজ্যে রয়েছে বলে জানা গেছে। ইডি তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলাও করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে সে অস্ত্র পাচার করত।
অসম পুলিশ ৭ বছর আগেও অনিল চৌহানকে গ্রেপ্তার করেছিল। এরপর আসাম, দিল্লি, মহারাষ্ট্রসহ দেশের অনেক জায়গা থেকে সাড়ে চার হাজারের বেশি গাড়ি চুরির অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে অনিল ৪৫৫২টি গাড়ি চুরি করে বিক্রির অভিযোগ স্বীকার করেছে। অনিল চৌহানের নেটওয়ার্ক দিল্লি থেকে আসাম ও মহারাষ্ট্রে ছড়িয়ে আছে।