চীনের ঋণের জালে জড়িয়েছে ভারতের এই প্রতিবেশী দেশ, দেউলিয়া হওয়ার আশঙ্কা

বাংলাহান্ট ডেস্ক: বর্তমান দিনে আন্তর্জাতিক মহলে চীনের (China) অবস্থা খুবই শোচনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। একে করোনা ভাইরাস অন‍্যদিকে ভারতের (India) সাথে সীমানা বিবাদ- সবকিছু মিলিয়ে একেবারে কোণঠাসা চীন সরকার জিনপিং। এই জমি মাফিয়া চীন আবার প্রথম থেকেই ছোট ছোট দেশগুলোকে টার্গেট করে। তাদের ঋণের জালে ফাঁসিয়ে ভূমি আত্মসাৎ করার ফন্দি আঁটে। ঋণের লোভ দেখিয়ে নিজের দলে টানতে চায়।

চীনের ঋণের জালে মালদ্বীপ
চীন সরকারের এই ঋণের জালে জড়িয়ে পড়ে বহু ছোট ছোট দেশ তাদের সীমানার অনেক গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হারিয়েছে। এবার ভারতের প্রতিবেশী দেশ মালদ্বীপের (Maldives) উপর চীনের এই লোলুপ দৃষ্টি পড়েছে। মালদ্বীপকে এমনভাবে নিজের ঋণের জালে ফাঁসিয়ে নিয়েছে, যে আগামী দিনে হয়ত তাদের লাওস এবং অন্যান্য দেশের মতো বড় খেসারত দিতে হতে পারে।

images 1 54

মোটা অংকের রয়েছে চীনের ঋণ
মালদ্বীপের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং বর্তমানে সংসদের স্পিকার মোহাম্মদ নাশিদ আসন্ন বিপদের আঁচ করতে পেরেছেন। তাঁর আশঙ্কা চীনের এই ঋণের জন্য একদিন গোটা মালদ্বীপ পুরোপুরি চীনের জালে আটকা পড়ে যাবে। তিনি জানিয়েছেন, মালদ্বীপের মোট অর্থনীতি দাঁড়িয়ে আছে প্রায় ৫ আরব ডলারের উপর কিন্তু এর মধ্যে চীনের ঋণ রয়েছে প্রায় ৩.১আরব ডলার।

স্মরণে আসছে শ্রীলঙ্কার কথা
তিনি আরও জানিয়েছেন, এর মধ্যে রয়েছে সরকারের নেওয়া ঋণ, সরকারী সংস্থাগুলির নেওয়া ঋণ এবং বেসরকারী সংস্থাগুলির নেওয়া ঋণ, যার নিশ্চয়তার দায়িত্বে রয়েছে মালদ্বীপ সরকার। ৯৯ বছর পূর্বে চীনের ঋণের জালে জড়িয়ে পড়ে শ্রীলঙ্কাকে তাদের হাম্বানটোটা বন্দর খোয়াতে হয়েছিল। বর্তমান দিনে মোহাম্মদ নাশিদের আশঙ্কা, মালদ্বীপকেও না কোন কিছু হারাতে হয়।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে মালদ্বীপ সরকার আবদুল্লাহ ইয়ামিন চীন সমর্থক হওয়ায় বেজিং থেকে মোটা অংকের ঋণ নিয়েছিলেন। মালদ্বীপ সরকারের সেই ঋণের বোঝা বর্তমান দিনে সংশয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর