পশ্চিম এশিয়ার বহু দেশ ও ইউরোপে স্বীকৃত ভারতের UPI, আরও লেনদেন বারাতে চায় কেন্দ্র

বাংলাহান্ট ডেস্ক : নরেন্দ্র মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর জোর দিচ্ছে ডিজিটাল লেনদেনে। ছোট দোকান থেকে শপিং মল, বর্তমানে সব জায়গায় একটি কিউআর কোড স্ক্যান করে বা নির্দিষ্ট ইউপিআই নম্বর ইনপুট করে টাকা পাঠানো যায় খুব সহজে। বিশেষ করে ২০১৬ সালে ৮ ই নভেম্বর কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে পুরনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সেই সময় ব্যাপকভাবে প্রসারিত হয় ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থা। ভারতের ইউপিআই পেমেন্ট বর্তমানে ভারত ছাড়াও পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও স্বীকৃতি লাভ করেছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার চাইছে বিদেশেও এই ইউপিআই ব্যবহার বৃদ্ধি করতে। ডিজিটাল লেনদেন ভারতবর্ষে জনপ্রিয় হওয়ার সাথে সাথে গুগল পে, ফোন পে, পেটিএম ইত্যাদি কোম্পানির তাদের ব্যবসা শুরু করে।

জানা গিয়েছে, এই সকল ইউপিআই কোম্পানি গুলি এনপিসিআই (ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। সম্প্রতি একটি রিপোর্টে জানা গেছে, গত সেপ্টেম্বর মাসে সারা ভারতবর্ষ জুড়ে ইউপিআই এর মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে ১১ লক্ষ কোটি টাকার। ডিজিটাল মাধ্যমে টাকার লেনদেন বাড়তে থাকলে ভারতের তরফে ভিম (ভারত ইন্টারফেস ফর মানি) অ্যাপ চালু করা হয়।

UPI payment app can make you poor

আপনাদের জানিয়ে রাখি, এই ইউপিআই শুধু ভারতবর্ষ নয়, বিশ্বের আরও ৭ টি দেশে স্বীকৃত। সিঙ্গাপুরে ২০২০ সাল নাগাদ ভারতের ইউপিআই ও রূপে কার্ড প্রথম স্বীকৃতি লাভ করে। ভারতের প্রতিবেশী দেশ ভুটানে ২০২১ সাল নাগাদ ইউপিআই ও রূপে কার্ডের মাধ্যমে ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থা শুরু হয়। ২০২২ সালে নেপাল ও আরব আমিরসাহিতে শুরু হয় ইউপিআই। ফ্রান্সে ২০২২ সালের জুন মাসে ইউপিআইকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। পাশাপাশি ওমান সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে সেখানেও ভারতীয় ইউপিআই সিস্টেম চালু করা হবে।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর